
ঢাকা: বিদায় শপথবাক্য। বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে নানা পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। যার মধ্য়ে অন্যতম শিক্ষায় বদল। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় নাম পরিবর্তন থেকে পড়ুয়াদের পাঠক্রমে ‘বদল’, সবই করেছে ইউনূসের সরকার। এবার ক্ষমতা যখন যায় যায়, সেই সময়েও শিক্ষাক্ষেত্রে বড়সড় বদল ঘটাল বাংলাদেশ।
বুধবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেদেশের স্কুল-কলেজের শপথবাক্য বদলে ফেলেছে ইউনূস সরকার। প্রতিদিন সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সমাবেশে দাঁড়িয়ে যে বাক্য পাঠ করতেন পড়ুয়ারা। তা আবার বদলে ফেলেন ইউনূস। এর আগে ২০২১ সালে হাসিনার আমলে শপথবাক্য আনা হয় বদল। ইউনূস আসতেই চার বছরের মধ্যে ফিরিয়ে আনলেন একুশের আগে পাঠ হওয়া বাক্যকে।
কিন্তু কী এমন বদল ঘটিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হাসিনা, যাতে হস্তক্ষেপ করার জন্য গা-হাত-পা নিশপিশ করছিল ইউনূস সরকারের? জানা গিয়েছে, একুশে আওয়ামী লীগের সরকারের আমলে পড়ুয়াদের দৈনন্দিন সকালের শপথবাক্য পাঠে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ। অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ শব্দটিও।
ইউনূসের আনা শপথে বাদ পড়েছে সেই প্রসঙ্গগুলিই। সরকারের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘নতুন শপথবাক্য দেশপ্রেম ও নৈতিক শিক্ষার প্রতীক। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন আত্মমর্যাদাসম্পন্ন ও সামাজিক ভাবে দায়িত্বশীল হয়ে ওঠে, সেই দায়িত্বকেই সুনিশ্চিত করবে এই শপথবাক্য।’
তবে এই নতুন শপথবাক্যতে ‘আল্লাহ’ শব্দের সংযোজন বাংলাদেশের ধর্মনিরপেক্ষতাকে ক্ষুণ্ণ করছে বলেও মত অনেকের। হাসিনা আমলে শুরু হওয়া শপথে বলা হত, ‘পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ এবং বঞ্চনার বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে।…’ সেই শপথবাক্যকে সরিয়ে ইউনূস রাখলেন, ‘হে আল্লাহ, মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করতে পারি…।’