দুর্গাপুজোয় ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে পারেননি পরিযায়ী শ্রমিকরা, ১৪ টি পরিবারকে ‘বয়কট’ সমাজের

TV9 বাংলা ডিজিটাল: দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) মাথা পিছু ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে পারেননি ওঁরা। ‘শাস্তিস্বরূপ’ ১৪ টি আদিবাসী পরিবারের সদস্য়দের ২ সপ্তাহের জন্য সামাজিক বয়কটের (Social Boycott) নিদান দিলেন মাতব্বররা। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বলাঘাট জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে সমাজ। দিন আনা দিন খাওয়া ওই পরিবারগুলি অতিমারি পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে মারাত্মকভাবে […]

দুর্গাপুজোয় ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে পারেননি পরিযায়ী শ্রমিকরা,  ১৪ টি পরিবারকে 'বয়কট' সমাজের
দুর্গাপুজোয় ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে পারেননি পরিযায়ী শ্রমিকরা, ১৪ টি পরিবারকে 'বয়কট' সমাজের
Follow Us:
| Updated on: Nov 20, 2020 | 11:36 AM

TV9 বাংলা ডিজিটাল: দুর্গাপুজোয় (Durga Puja) মাথা পিছু ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে পারেননি ওঁরা। ‘শাস্তিস্বরূপ’ ১৪ টি আদিবাসী পরিবারের সদস্য়দের ২ সপ্তাহের জন্য সামাজিক বয়কটের (Social Boycott) নিদান দিলেন মাতব্বররা। মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বলাঘাট জেলার প্রত্যন্ত গ্রামের এই ঘটনায় ফের প্রশ্নের মুখে সমাজ।

দিন আনা দিন খাওয়া ওই পরিবারগুলি অতিমারি পরিস্থিতিতে লকডাউনের জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দু’বেলার অন্ন সংস্থান করাই তাঁদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই গ্রামের ‘মাতব্বর’দের নির্ধারণ করা ২০০ টাকা চাঁদা তাঁরা দিতে পারেননি। ১০০ টাকা করে চাঁদা দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি হননি কেউ।

শাস্তিস্বরূপ তাঁদের ২ সপ্তাহের জন্য সামাজিকভাবে বয়কট করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন গ্রামের ‘রক্ষাকর্তারা’। রেশন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান থেকে তাঁরা কোনও পরিষেবা পাননি।  লমতা গ্রামে ওই গ্রামে ১৭০ টি পরিবারের বাস। তারমধ্যে ৪০টি পরিবারের সদস্য পরিযায়ী শ্রমিক। লকডাউনের পর কয়েকশো পথ উজিয়ে গ্রামে পৌঁছেছেন তাঁরা। ওই ৪০ টি পরিবারের মধ্যে ২৬ জন কোনওমতে টাকা জোগাড় করে চাঁদা দিয়েছেন। দিতে পারেননি বাকি ১৪টি পরিবার।

         আরও পড়ুন: মালদার কারখানা বিস্ফোরণে NIA তদন্ত চাইছে বিজেপি, ‘বোমা তৈরি হচ্ছিল’ টুইটে প্রশাসনকে খোঁচা রাজ্যপালের

দুর্গাপুজো মিটতেই গ্রামে ৩ নভেম্বর একটি সভা ডাকেন মাতব্বরা। তাতেই ঠিক হয়, ২ সপ্তাহ অর্থাত্ ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ওই ১৪টি পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে। সভার সিদ্ধান্ত মেনেই কাজ হয়। এরপর লামটা থানায় বিষয়টি জেনে একটি অভিযোগপত্র জমা দেন গোন্দ সমাজ মহাসেবার জেলা সভাপতি রাধেলাল মাদশোলে। খবর পৌঁছয় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছেও।

ওই আদিবাসী পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ায় প্রশাসন। তাঁকে সবরকম সাহায্য করা হয়। এরপরও যে তাঁদের এই ধরনের কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না, তারও আশ্বাস দেন উচ্চ পদস্থ পুলিস কর্তারা।