লাহুলের একটি গোটা গ্রাম করোনা আক্রান্ত, বন্ধ হল রোটাং যাওয়ার একাংশ রাস্তা
মানালি-লেহ হাইওয়ের পাশেই অবস্থিত থোরাং গ্রামে বর্তমানে কেবল ৪২ জন বাসিন্দাই রয়েছেন। বাকি বাসিন্দারা ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে প্রতিবছরের মতোই শীতের শুরুতেই কুলুতে চলে গিয়েছেন। বাইরে থেকে পর্যটকদের আনাগোনা হওয়ায় গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় নিজেদের করোনা পরীক্ষা করাতে যান। দেখা যায়, সংগৃহীত ৪২টি স্যাম্পেলের মধ্যে ৪১টির রিপোর্টই পজি়টিভ আসে।
TV9 বাংলা ডিজিটাল: একজন-দুজন নয়, গোটা গ্রামের সকলেই করোনা (Coronavirus)আক্রান্ত। হিমাচল প্রদেশ (Himachal Pradesh)-র লাহুল উপত্যকায় (Lahaul Valley) অবস্থিত থোরাং গ্রামের (Thorang Village) বাসিন্দারা কয়েকদিন আগেই নিজেদের করোনা পরীক্ষা করান, রিপোর্টে দেখা যায় সকলেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। একইসঙ্গে বিশাল সংখ্যাক বাসিন্দা আক্রান্ত হওয়ায় রাজ্যের মধ্যে সবথেকে প্রভাবিত জেলায় পরিণত হয়েছে লাহুল-স্পিতি (Lahaul-spiti Valley)।
লাহুল উপত্যকায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ রোটাং টানেলের (Rohtang Tunnel) উত্তরদিকে তেলিং নুল্লাহ (Teling nullah) অঞ্চলে যাবতীয় পর্যটকদের আনাগোনা বন্ধ করে দিয়েছে। লাহুল গ্রামেও পর্যটকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি বৃহস্পতিবার। টানেলের অপর প্রান্তের প্রতিটি গ্রামকেই কন্টেনমেন্ট জ়োন (Containment Zone) হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
আধিকারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, মানালি-লেহ হাইওয়ের (Manali-Leh Highway)পাশেই অবস্থিত থোরাং গ্রামে বর্তমানে কেবল ৪২ জন বাসিন্দাই রয়েছেন। বাকি বাসিন্দারা ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে প্রতিবছরের মতোই শীতের শুরুতেই কুলু (Kulu)-তে চলে গিয়েছেন। বাইরে থেকে পর্যটকদের আনাগোনা হওয়ায় গ্রামবাসীরা স্বেচ্ছায় নিজেদের করোনা পরীক্ষা করাতে যান। দেখা যায়, সংগৃহীত ৪২টি স্যাম্পেলের মধ্যে ৪১টির রিপোর্টই পজি়টিভ আসে।
৫২ বছরের ভূষণ ঠাকুর নামক গ্রামের এক বাসিন্দার পরিবারে তিনি সহ মোট পাঁচজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন,”আমি গত চারদিন ধরে আলাদা ঘরে থাকছি এবং নিজেই নিজের খাবার বানাচ্ছি। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগে অবধি আমি পরিবারের সঙ্গেই ছিলাম। তবে হাত স্যানিটাইজ় করা, মাস্ক পরা সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি পালন এবং খোলা জায়গায় সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে। মানুষের এই রোগকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। যেহেতু শীতের মরশুম শুরু হচ্ছে, অতিরিক্ত সাবধান হওয়া উচিত সকলের।”
সম্প্রতি কোনও একটি ধার্মিক অনুষ্ঠানে সকল গ্রামবাসী একত্রিত হওয়ায় সেখান থেকেই গোষ্ঠী সংক্রমণ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। গ্রামের আশেপাশের অঞ্চলেও বহু মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। লাহুল-স্পিতি উপত্যকার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ পালজর জানান, তার দল সকল গ্রামবাসীকেই নিজে থেকে এগিয়ে এসে পরীক্ষা করার অনুরোধ করছে। জেলায় এখনও পর্যন্ত মোট ৮৫৬জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে। লাহুলের পাশাপাশি স্পিতির বিভিন্ন গ্রামেও গোষ্ঠী সংক্রমণ প্রশাসনের চিন্তার কারণ হয়ে উঠেছে। গত ২৮ অক্টোবর স্পিতির রংরিক গ্রামে মোট ৩৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হারলিং নামক একটি ছোট গ্রামেও ১৯জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।