কাজের ‘স্বাধীনতা’ চেয়ে দলীয় নেতৃত্বকে বার্তা, মানভঞ্জনের দায়িত্বে সৌগত
TV9 বাংলা ডিজিটাল: অভিমানের কারণ এতদিনে কিছুটা হলেও প্রকাশ্যে এল। শুভেন্দুর মানভঞ্জনে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) এগিয়ে যেতেই ঘটনাক্রমে নয়া মোড়। আদৌ ঠিক কী কারণে দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), তা অনেকে অনুমান করলেও সঠিকভাবে বলতে পারছিলেন না। সূত্রের খবর, সৌগত মারফত ‘কাজের জন্য স্বাধীনতা’ চেয়ে দলীয় নেতৃত্বের কাছে […]
TV9 বাংলা ডিজিটাল: অভিমানের কারণ এতদিনে কিছুটা হলেও প্রকাশ্যে এল। শুভেন্দুর মানভঞ্জনে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) এগিয়ে যেতেই ঘটনাক্রমে নয়া মোড়। আদৌ ঠিক কী কারণে দলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছিলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), তা অনেকে অনুমান করলেও সঠিকভাবে বলতে পারছিলেন না। সূত্রের খবর, সৌগত মারফত ‘কাজের জন্য স্বাধীনতা’ চেয়ে দলীয় নেতৃত্বের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন শুভেন্দু। অর্থাৎ, তিনি যে সমস্ত জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন, সেই সবকটিতেই যাতে তাঁকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়, সেই দাবি করেছেন তিনি। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছেন তিনি। আর এই আলোচনার দায়িত্বে থাকবেন বর্যীয়ান নেতা সৌগত রায়।
তৃণমূলেরই একাধিক নেতা দাবি করেছেন, আলোচনার ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী একাধিক শর্ত দিয়ে রেখেছেন। তবে সে বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি সৌগত রায়।
মনে রাখতে হবে, বেশ কয়েক মাস ধরে নাগাড়ে দল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েকে এড়িয়ে গেলেও সম্প্রতি রামনগরে ‘মেগা শো’তে ফের শুভেন্দুর মুখে দলীনেত্রীর নাম শোনা গিয়েছে। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, “এটা মনে রাখতে হবে, আমি এখনও একটা মন্ত্রিসভার সদস্য, একটি দলের প্রাথমিক সদস্যপদও রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এখনও আমাকে দলে রেখেছেন, উনিও তাড়াননি, আমিও ছাড়িনি। রাজনৈতিক কথাবার্তা দলের ভিতরে থেকে, মন্ত্রিসভায় থেকে বলা যায় না। এটা আমার নীতি আদর্শের পরিপন্থী।” তাঁর কথায়, “মতান্তর, বিবাদ, বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু যতক্ষণ আমি দল ছাড়িনি, অরাজনৈতিক মঞ্চে এসব বলতে পারি না।” আরও পড়ুন: বাংলায় বাড়ল মদের দাম, ওয়াইন, বিয়ারের দাম বাড়ছে ২৫-৩০ শতাংশ
শুভেন্দুর মুখে ফের দলনেত্রীর নাম এবং দল-মন্ত্রিসভায় থাকার কথা শুনে নয়া জল্পনা শুরু হয়েছে। এখন দেখার রাজ্যের কঠিন নির্বাচনের আগে শুভেন্দুর দাবি মেনে নেয় তৃণমূল, নাকি অন্য কোনো নয়া সমীকরণ তৈরি হবে।