খেজুরিতে শুভেন্দুর পোস্টারে ঘাসফুল প্রতীক, বরফ গলার ইঙ্গিত!
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে সভা করেননি ঠিকই। তবে সভাস্থলে তাঁর যে পোস্টার লাগানো হয়েছিল, জোড়াফুল প্রতীক শোভা বাড়িয়েছে সেই পোস্টারের। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নগুলো প্রশ্রয় পেতে শুরু করেছে
TV9 বাংলা ডিজিটাল: ঘরের ছেলে কি ঘরে ফিরে এল? দু’দফায় বৈঠকের সুফল পেল তৃণমূল? মানভঞ্জন হয়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের দৌর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার?
মঙ্গলবার এরকমই একাধিক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে খেজুরির ‘হার্মাদ মুক্তি দিবস’। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সঙ্গে তৃণমূলের (Trinamool Congress) বরফ গলার কোনও ‘প্রমাণ’ পাওয়া যায়নি ঠিকই। তবে ঠান্ডা লড়াই শেষ হওয়ার সামান্যতম জল্পনাটা বেশ জন্মে গিয়েছে। সেই লড়াই, যা এতদিন কখনও আড়ালে আবডালে, কখনও বা উহ্য রেখে চালাচ্ছিলেন পরিবহণ মন্ত্রী নিজে।
শাসক দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি পাওয়ার পর থেকে গত কয়েক মাসে শুভেন্দু যতগুলো সভা করেছিলেন, কোথাও দলীয় পতাকা বা প্রতীক, বা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) মুখ পর্যন্ত ব্যবহার হয়নি। সর্বত্রই তাঁর কর্মসূচি আয়োজন করছিলেন ‘দাদার অনুগামী’রা। পোস্টারও পড়ছিল সেরকমই। ফলে দূরত্বটা যে ক্রমশ বাড়ছে বই কমছে না, সেটাও বোঝা যাচ্ছিল সাফ।
কিন্তু এদিন খেজুরির ছবিটা আবার নতুন করে জল্পনার জন্ম দিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে সভা করেননি ঠিকই। তবে সভাস্থলে তাঁর যে পোস্টার লাগানো হয়েছিল, জোড়াফুল প্রতীক শোভা বাড়িয়েছে সেই পোস্টারের। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নগুলো প্রশ্রয় পেতে শুরু করেছে। শুভেন্দুর সঙ্গে কি দৌত্য হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের?
প্রশ্নগুলো প্রশ্রয় পাওয়ার আরও বড় কারণ হল- দলের বরিষ্ঠ সাংসদ সৌগত রায়ের সঙ্গে গতকালই বৈঠক করেছিলেন শুভেন্দু। সেই বৈঠকের পর বেশি কিছু না জানা গেলেও সূত্র মারফৎ যেটুকু খবর উঠে এসেছিল, তাতে সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি। তবে এদিনের সভায় ঘাসফুল প্রতীক ব্যবহারের যে বিশেষ ‘তাৎপর্য’ রয়েছে, সেটা কোনওভাবেই অস্বীকার করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন: খোদ মোদীর নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ! তেজ বাহাদুরের মামলা খারিজ করল শীর্ষ আদালত
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রাজনীতির কারবারিদের নজর এড়ায়নি। এদিন শুভেন্দুর সঙ্গে পদযাত্রায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই বিধায়কও সামিল হয়েছিলেন। এদিনও শুভেন্দু কোনও রাজনৈতিক বক্তব্য রাখেননি। তবে বলেছেন, এই শান্তি ও এই বাক স্বাধীনতা যেন চিরস্থায়ী হয়। আগাগোড়া তিনি যে মানুষের পাশে ছিলেন এবং থাকবেন সে কথাও মনে করিয়ে দেন।
ফলে শুভেন্দু কোন পথে হাঁটবেন সেই প্রশ্নের উত্তর এখনমিও ধোঁয়াশায় রয়ে গেলেও তিনি যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্ণায়ক ভূমিকা নিতে চলেছেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ থাকছে না।