সাত পাক ঘোরার মাঝেই বাথরুমে ছুটলেন পাত্রী, তারপর যা হল…হুলুস্থুল কাণ্ড বিয়ের মণ্ডপে
Fraud: ৪০ বছরের কমলেশ কুমারের সঙ্গে এক যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এটা কমলেশের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এক ঘটকই তাদের বিয়ে ঠিক করে দিয়েছিলেন। এর জন্য ৩০ হাজার টাকা কমিশনও নিয়েছিলেন।
লখনউ: পাত্রের বয়স একটু বেশি। তাই প্রথম থেকেই দোনামনা ছিল, কিন্তু পাত্রী নিজেই এক পায়ে খাড়া। সমস্ত তোড়জোড়, বিয়ের খরচ বহন করছিল পাত্রই। তারপরও বিয়ের মণ্ডপেই ঘটে গেল অঘটন। বিয়ের মাঝেই পাত্রী উঠে গেলেন শৌচালয়ে। সেখানে গিয়ে আর ফিরলেন না। পাত্র একাই বসে রইলেন। এদিকে গয়নাগাটি-টাকাপয়সা নিয়ে পগারপার কনে।
পাত্রকে মণ্ডপে বসিয়ে রেখে টাকা ও গহনা নিয়ে পালিয়ে গেল পাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশে। ভারোহিয়ার শিব মন্দিরে ৪০ বছরের কমলেশ কুমারের সঙ্গে এক যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল। এটা কমলেশের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। এক ঘটকই তাদের বিয়ে ঠিক করে দিয়েছিলেন। এর জন্য ৩০ হাজার টাকা কমিশনও নিয়েছিলেন।
বিয়ের আগে পাত্রী জানিয়েছিল, তার গহনাগাটি কেনার সাধ্য নেই। তাই বিয়ের ব্যবস্থা থেকে যাবতীয় উপহার, গহনা- কমলেশই যাবতীয় খরচ বহন করেন। শুক্রবার একটি শিব মন্দিরে তাদের বিয়ে হচ্ছিল। কিন্তু বিয়ের মাঝে পাত্রী কিছুক্ষণ সময় চান শৌচাগারে যাওয়ার জন্য। সেই যে গেলেন, আর ফেরেননি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করার পর পাত্র যখন খোঁজখবর লাগান, তখন জানতে পারেন, নগদ টাকা ও গহনাগাটি নিয়ে পাত্রী পালিয়ে গিয়েছে।
বিষয়টি সম্পর্কে পুলিশ অবগত হলেও, কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায়, তদন্ত শুরু করা যায়নি।