নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণের একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ায়, বারংবার বিপর্যস্ত হয়েছে উড়ান শিল্প (Aviation Industry)। একদিকে যেমন দাম বাড়ছে বিমানের জ্বালানির (aviation Fuel), অন্যদিকে সংক্রমণের ঠেলায় কোপ পড়েছে যাত্রী সংখ্যায়। তাই এবারের আসন্ন বাজেটে (Budget 2022) বিমানের জ্বালানির উপর করের ছাড়ের আশা করছে উড়ান শিল্প।
একটি উড়ান সংস্থা পরিচালনের জন্য যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়, তার মধ্যে ২৫ থেকে ৪০ শতাংশই বিমানে ব্যবহৃত টারবাইন জ্বালানি কিনতেই খরচ হয়। এই জ্বালানির উপর আবার রাজ্য সরকারের রাজস্বও রয়েছে। বর্তমানে একাধিক রাজ্যে এটিএফ বা বিমানের জ্বালানির উপর ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ কর বসায়।
এদিকে, বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে থমকে দাঁড়িয়েছিল উড়ান পরিষেবা। প্রায় দীর্ঘ ৬ মাস অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়ান পরিষেবা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ থাকার পর, তা পুনরায় চালু হয়। কিন্তু যখনই কোনও নতুন ভ্য়ারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে বা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তার সরাসরি প্রভাব উড়ান পরিষেবার উপরই সবার আগে পড়েছে।সেই কারণেই আসন্ন বাজেটে বিমানের জ্বালানির উপর কর হ্রাস সহ একাধিক ক্ষেত্রে ছাড়ের আশা করছে উড়ান শিল্প।
অসমারিক উড়ান পরিবহনের ক্ষেত্রে সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা ও করে ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন উড়ান সংস্থার তরফে। দীর্ঘ সময় ধরে করোনা সংক্রমণের প্রভাবে পরিষেবায় যে ব্যপক ক্ষতি হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে পূরণের জন্য়ই এই আর্থিক সহায়তার আবেদন জানানো হয়েছে। জ্বালানির পাশাপাশি বিমানবন্দরের বিভিন্ন ক্ষেত্রে খরচ, পার্কিং, ল্যান্ডি, নেভিগেশন সহ একাধিক ক্ষেত্রে কর হ্রাস করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই উড়ান শিল্পের তরফে বিমানের জ্বালানির উপর শুল্ক, ভ্যাটে ছাড় দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়াও বিমানবন্দরের বিভিন্ন পরিষেবার উপরও জিএসটি হ্রাস করার আবেদন জানানো হয়েছিল। বর্তমানে করোনা পরবর্তী সময়ে আগের মতো যাত্রী ফিরে পেতে এই সমস্ত ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া অত্যন্ত জরুরি বলেই জানিয়েছেন তারা।
উড়ান শিল্পে করের ক্ষেত্রে ছাড় সম্পর্কে সরকারের তরফে কিছু জানানো না হলেও, নতুন বাজেটে বিমানবন্দর তৈরি ও গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দরগুলির পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হতে পারে বলেই সূত্রের খবর। যে সমস্ত বিমানবন্দরে ধীরে ধীরে যাত্রী সংখ্যা বাড়ছে বা কোনও কারণে বিমানবন্দরের প্রাধান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, সেই বিমানবন্দরগুলিতে সম্প্রসারণ ও সংস্কার করে যাতে আরও যাত্রী সংখ্যা বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা করা হতে পারে।