নয়া দিল্লি: আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন অর্থবর্ষ ২০২২-২৩ এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশ করবেনষ এটি মোদি সরকারের দ্বিতীয় কার্যকালের চতুর্থ বাজেট হবে। আগামী বাজেট নিয়ে সমস্ত ক্ষেত্রেরই নিজেদের নিজেদের আশা রয়েছে। এই অবস্থায় দেশের বর্তমান স্টার্টআপগুলিরও রয়েছে অর্থমন্ত্রী নির্মলার বাজেট নিয়ে কিছু আশা। দ্য ডায়লগের প্রতিষ্ঠাতা কাজিম রিজভি বলেছেন স্টার্টআপগুলির আগামী বাজেট নিয়ে যথেষ্ট আশা থাকবে, কারণ তারা কর ছাড়ের পাশাপাশি তাদের উপর এখন যে এফডিআইয়ের বোঝা রয়েছে, তা সহজ হওয়ারও আশা করছে। যাতে তাদের কিছু মূলধন বাঁচানো যেতে পারে। স্টার্টআপগুলি টিডিএস অথবা টিসিএস ম্যানজমেন্টের সরলীকরণ হওয়ারও আশা করছে।
আইটি আর ইন্টারনেটের পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন
অন্যদিকে ইন্টিগ্রেশন ইউজার্ড সলিউশনের সিইও কুণাল কিশলয় জানিয়েছেন যে আগামী বাজেটে সরকারের এমন উপায় খুঁজে বের করা উচিৎ, যার ফলে স্টার্টআপগুলির বৃদ্ধির গতি ভবিষ্যতেও বজায় থাকতে পারে। তিনি বলেন, স্টার্টআপগুলি আশা করছে য়ে ডিজিটাল ইন্ডিয়া আর মেক ইন ইন্ডিয়ার মতো প্রকল্পের বিকাশ ঘটালে ভারতকে ডিপ-টেক হব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে। যেমন যেমন এই ডিজিটালাইজেশনের গ্রহণ এবং পরিবর্তনে গতি আসবে, তেমনই বাজেট ২০২২ এ এক শক্তিশালী আইটি আর ইন্টারনেটেন বেসিক পরিকাঠামোর নির্মাণের দিকেও মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে।
তিনি আগে বলেন, অন্যদিকে এমএসএমই সেক্টর কোভিড মহামারী চলাকালীন সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে। এই অবস্থায় বাজেট ২০২২ তৈরি করার সময় কোভিড-১৯ এ প্রভাবিত অর্থব্যবস্থাকে আবারও লাইনে আনার জন্য সরকারের শক্তিশালী বৃদ্ধির ম্যাপ তৈরি করা উচিৎ। সঠিক নীতি আর রিসোর্স গ্রহণের ফলে আসন্ন বাজেট ভারতীয় প্রযুক্তি আর ছোট ব্যবসার ক্ষেত্রের জন্য গেম চেঞ্জার প্রমাণিত হতে পারে। সমস্ত দিক যেমন ট্যাক্স, লোর আর দুই ক্ষেত্রের জন্য অডিটের নিয়মের বোঝা কম করার জন্যও সরকারে পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ।
শিক্ষাগত পরিষেবার উপর জিএসটি কম করার দাবি
বোর্ড ইনফিনিটির সিইও আর সহ প্রতিষ্ঠাতা সুমেশ নায়ার জানিয়েছেন, বর্তমানে, শিক্ষাগত পরিষেবার উপর ১৮ শতাংশ জিএসটি গ্রাহকদের উপর বিশেষত প্রযুক্তি আর পরিপূরক শিক্ষার জন্য একটি বোঝা। যদি আমরা গ্রাহকদের জন্য বেশি সামর্থের নির্মাণ করতে পারি, তো এটা ভীষণই ভাল হবে। মোট অ্যাড্রেসেবল মার্কেটের ৫০ শতাংশের বেশি, স্কিলিং কোর্সের জন্য ৩৫,০০০ টাকার বেশি পেমেন্ট করতে পারে না। ১৮ শতাংশের এই প্লাস জিএসটি বেশকিছু গ্রাহকদের শিখতে আর আবারও শেখার বিকল্প বাছার জন্য উৎসাহিত করে। তিনি বলেন তারা সরকারের কাছে শিক্ষাগত পরিষেবার উপর জিএসটি ১৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করার আবেদন জানাবেন। এই কৌশল শেখার জন্য উৎসাহিত করবে আর আরও বেশি দক্ষ পেশাদার কর্মী তৈরি করবে যা এই সময়ের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: Budget 2022: ই-লার্নিং থেকে সাইবার সুরক্ষা, নির্মলার বাজেট থেকে কী কী আশা রাখছে শিক্ষাক্ষেত্র?