Budget 2022: ই-লার্নিং থেকে সাইবার সুরক্ষা, নির্মলার বাজেট থেকে কী কী আশা রাখছে শিক্ষাক্ষেত্র?
Education Sector Expectation: ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চশিক্ষায় অনলাইন বা হাইব্রিড মডেলের সংযোজনের কথা বলা হয়েছিল। করোনা পরবর্তী সময়েও এই শিক্ষাব্যবস্থা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে স্লো নেটওয়ার্কের কারণে অনলাইনে শিক্ষাব্য়বস্থায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে মোবাইল ডেটার খরচও ক্রমশ বাড়ছে।
নয়া দিল্লি: করোনাকালে (COVID-19) প্রায় দুই বছর ধরে গৃহবন্দি পড়ুয়ারা। স্কুলে শারীরিক ক্লাস বন্ধ থাকায়, পঠনপাঠনের একমাত্র ভরসা হয়ে উঠেছে অনলাইন ক্লাসই (Online Class)। সেই কারণেই আসন্ন বাজেটে বিশেষ নজর থাকছে শিক্ষাক্ষেত্রের উপরও। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট (Budget 2022) পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। ৩.১ ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে শিক্ষাক্ষেত্রে কী কী বড় পদক্ষেপ করা হতে পারে, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে শিক্ষক থেকে পড়ুয়া-অভিভাবক মহল।
ই-লার্নিংয়ে জোর:
বিগত দুই বছরে করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে অনলাইন মাধ্যমের উপরই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রের এবারের বাজেট থেকে সবথেকে বড় আশা হল শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং করের উপর ছাড়। ২০২১ সালের বাজেটে শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য বরাদ্দ, ,তার আগের বছরের তুলনায় ৬ কোটি টাকা কমিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মহামারি দীর্ঘায়িত হওয়ায় ই-লার্নিংয়ের মেয়াদও বৃদ্ধি পেয়েছে। কেন্দ্রের তরফে ন্য়াশনাল ডিজিটাল এডুকেশনাল আর্কিটেকচারও তৈরি করা হচ্ছে, যা জাতীয় শিক্ষা নীতিকে আরও ভালভাবে প্রয়োগ করার জন্য ডিজিটাল পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করবে।
জিএসটিতে ছাড়ের দাবি:
স্কুলে কোনও জিএসটি না থাকলেও, আধুনিক প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী শক্তি ভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এখনও ১৮ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। অনলাইন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির দাবি, যদি করোর বোঝা কমানো যায়, তবে আরও কম খরচে নানা পণ্য ও পরিষেবা দেওয়া যাবে। ফলে সমাজের বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীরাই অনলাইন শিক্ষায় আগ্রহী হয়ে উঠবে।
করোনার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলায় কবে করোনা পূর্ব স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ফিরবে বিশ্ব, সে সম্পর্কে কোনও নিশ্চয়তা নেই। সেই কারণেই শিক্ষাক্ষেত্রের স্টার্টআপ সংস্থাগুলি কেন্দ্রের কাছে বিশেষ বরাদ্দ বা ফান্ডের আশা রাখছে, যা ছোট সংস্থাগুলিকে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। একইসঙ্গে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ-প্রকল্পেও যাতে স্টার্টআপ সংস্থাগুলিকে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়, সেই দাবিও জানানো হয়েছে।
প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির জন্য একটি নিয়ামক সংস্থা গঠনেরও আবেদন জানানো হয়েছে কেন্দ্রের কাছে। শিক্ষার মান থেকে খরচ, সমস্ত বিষয়ের উপরই নজরদারি করবে এই সংস্থা।
হাইব্রিড শিক্ষা ব্যবস্থা:
২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতে উচ্চশিক্ষায় অনলাইন বা হাইব্রিড মডেলের সংযোজনের কথা বলা হয়েছিল। করোনা পরবর্তী সময়েও এই শিক্ষাব্যবস্থা জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। তবে স্লো নেটওয়ার্কের কারণে অনলাইনে শিক্ষাব্য়বস্থায় বাধা সৃষ্টি হচ্ছে। একইসঙ্গে মোবাইল ডেটার খরচও ক্রমশ বাড়ছে। কম খরচে কীভাবে হাই স্পিডের ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া যায়, সেক্ষেত্রেও সরকারকে চিন্তাভাবনা করার আর্জি জানানো হয়েছে।
সাইবার সুরক্ষা:
ছোটদের হাতেও যেহেতু এখন অত্যাধুনিক মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা রয়েছে, সেই কারণে সাইবার সুরক্ষা অত্যন্ত জরুরি। ইন্টারনেটের অন্ধকার জগৎ থেকে দেশের যুব সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে একটি শক্তিশালী সাইবার সিকিউরিটির প্রয়োজন। সেই কারণেই এবারের বাজেটে সাইবার সুরক্ষার জন্য আলাদাভাবে বরাদ্দ করার অনুরোধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Budget 2022: করোনার ঢেউয়ে হাবুডুবু খেয়েছে অটোমোবাইল শিল্প! তীরে পৌঁছতে বাজেটেই ভরসা শিল্পপতিদের