
সম্পদ তৈরির সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী রাস্তা হল এসআইপি। এর প্রথম ও প্রধান কারণ হল কম্পাউন্ডিং। আর দ্বিতীয় কারণ হল, এসআইপিতে নিয়ম মেনে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে বিনিয়োগ করা। খুব কম বিনিয়োগও যদি অনেকদিন ধরে করা হয় তাহলে তাও অনেক টাকায় পরিণত হয়।
একজন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও বিনিয়োগ বিশেষজ্ঞ বলছেন, কেউ যদি মাসে ২ হাজার টাকাও বিনিয়োগ করে ও বার্ষিক ১৫.৫ শতাংশ হারেও সুদ পায়, তাহলে ১৮ বছরের শেষ তার বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ও পোর্টফোলিওর মোট ভ্যালু হবে ২৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
Expected return:= 15.5% p.a.
Time: 18 yearsSIP = ₹2,000/month
📈 Invested: ₹4.32L
💰 Returns: ₹19.2L
💼 Total: ₹23.5LStart early, stay consistent.#Investing #SIP
₹4,000/month
📈 Invested: ₹8.64L
💰 Returns: ₹38.4L
💼 Total: ₹47L
Power of compounding.…— A K Mandhan (@A_K_Mandhan) June 7, 2025
একই ভাবে তিনি দেখিয়েছে ৪ হাজার, ৬ হাজার ও ৮ হাজারে যথাক্রমে ৪৭ লক্ষ টাকা, ৭০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ও ৯৪ লক্ষ ১০ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। তবে তাঁর বলা শেষ, ১০ হাজার টাকার বিনিয়োগে কী হবে দেখলে মাথা ঘুরে যেতে পারে যে কোনও মানুষের। তিনি বলছেন ১৮ বছর ধরে মাসিক ১০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে তা পরিণত হবে ১ কোটি ১৮ লক্ষ টাকায়।
এসআইপি বিনিয়োগের প্রতি একটা নিয়মানুবর্তিতা শেখায়। এসআইপির ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারী মিউচুয়াল ফান্ডে প্রতি মাসে বা প্রতি ৩ মাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে। এসআইপি করলে বিনিয়োগকারী রুপি কস্ট অ্যাভারেজিংয়ের সুবিধা পায়। এর ফলে যখন বাজার পড়ে তখন কম দামে অনেক ইউনিট কিনে বিনিয়োগের গড় মূল্য কমিয়ে ফেলা যায়। বাজারের ওঠাপড়া থেকে বিনিয়োগকে রক্ষা করে এই রুপি কস্ট অ্যাভারেজিং।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।