Adani Green Energy, Adani Energy Solutions in F&O: ফিউচার ও অপশনে ঢোকার অপেক্ষা, আদানি গ্রিন এনার্জি ও আদানি এনার্জি সলিউশনের শেয়ার মারল বিরাট লাফ!
Adani in Share Market: শুক্রবারের এই বিরাট লাফের ফলে আদানি গ্রুপের লিস্টেড ১১টি কোম্পানির মধ্যে গ্রিন এনার্জির শেয়ারের দাম ২১.৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৩২৩ টাকা। আর, আদানি এনার্জি সলিউশনের শেয়ারের দাম ১৫.৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪০ টাকায়।
কয়েকদিন আগেই আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে সরকারি আধিকারিকদের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। আর এই ঘটনার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছিল কোম্পানির শেয়ারের দামের উপর। ওই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই বিনিয়োগকারীরা আদানি গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে শুরু করে। কেনিয়ার সরকার আদানি গ্রুপের সঙ্গে একটি চুক্তি বাতিল করে। ফলে, হুহু করে দাম পড়ে যায় আদানি এন্টারপ্রাইজ থেকে আদানি পাওয়ারের মতো সব সংস্থারই। যদিও, সেই সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করে আদানি গ্রুপ।
এরপর, ২৯ নভেম্বর শুক্রবার আদানি গ্রিন এনার্জি ও আদানি এনার্জি সলিউশনের মতো আদানি গ্রুপের দুটো বড় কোম্পানির লিস্টিং হল ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ফিউচার ও অপশন সেগমেন্টে। আর তারপরই ট্রেডার ও বিনিয়োগকারীদের কল্যাণে এই দুই শেয়ারের দামই হয়েছে আকাশছোঁয়া।
এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভাল যে, কোনও কোম্পানি চাইলেই কিন্তু ফিউচার ও অপশন সেগমেন্টের অংশ হতে পারে না। তার জন্য বিশেষ নিয়ম-নীতি রয়েছে। প্রথমত, কোনও শেয়ারকে মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ও দৈনিক লেনদেনের মূল্যের ভিত্তিতে দেশের প্রথম ৫০০ শেয়ারের মধ্যে থাকতে হবে। এছাড়াও আরও কিছু প্যারামিটার থাকে, যা সেই শেয়ারগুলোকে পূরণ করতে হয়।
শুক্রবারের এই বিরাট লাফের ফলে আদানি গ্রুপের লিস্টেড ১১টি কোম্পানির মধ্যে গ্রিন এনার্জির শেয়ারের দাম ২১.৭৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩২৩ টাকা। আর, আদানি এনার্জি সলিউশনের শেয়ারের দাম ১৫.৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪০ টাকায়।
এই দুই কোম্পানির ফিউচার ও অপশন সেগমেন্টে প্রবেশ করার ফলে কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের অর্থ ৫১ হাজার ২০০ কোটি টাকা বেড়েছে। ফলে, আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকা হয়েছে। এই বৃদ্ধি আদানি গ্রুপের এই দিনের মোট বৃদ্ধির প্রায় ৮১ শতাংশ। ১৯ নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের অভিযোগের আগে আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ ছিল ১৪ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি টাকা। যা পরবর্তীতে ধাক্কা খেয়ে প্রায় ১২ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছিল। যদিও ২৯ নভেম্বর, শুক্রবারের এই লাফের ফলে গ্রুপের মার্কেট ক্যাপ ১৯ তারিখের তুলনায় মাত্র ৫৮ হাজার কোটি টাকা পিছিয়ে রয়েছে।
তবে শুধুমাত্র আদানি গ্রিন ও আদানি এনার্জি সলিউশন নয়, আদানি টোটাল গ্যাসও ২৯ নভেম্বর, শুক্রবার ফিউচার ও অপশন সেগমেন্টে লিস্ট করা হয়। যদিও এই কোম্পানির শেয়ারের দামে তেমন উল্লেখযোগ্য প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। মাত্র ১.০৬ শতাংশ বেড়ে এই কোম্পানির শেয়ারের দাম দাঁড়িয়েছে ৮১২ টাকায়।
আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি আদানি এন্টারপ্রাইজ, আদানি পোর্টস, এসিসি ও অম্বুজা সিমেন্ট ইতিমধ্যেও ফিউচার ও অপশন সেগমেন্টের অংশ। বিসিবি ব্রোকারেজের ডিরেক্টর উত্তম বাগরি বলছেন, এই অন্তর্ভুক্তির ফলে আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারের ট্রেডিংয়ে অংশগ্রহণ বাড়বে। যা আসলে আদানি গ্রুপের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন আরও বাড়াতে সাহায্য করবে।