Airlines Ticket: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই কাজ, এবার বাড়তি চার্জ কাটতে পারবে না বিমান সংস্থা!
Airlines Extra Charges: নতুন খসড়া নির্দেশিকায় যাত্রীদের সুবিধা দিতে একাধিক প্রস্তাব আনা হয়েছে। মূল লক্ষ্য একটাই; বিমান টিকিট রিফান্ডের ক্ষেত্রে ন্যূনতম একটি মানদণ্ড স্থির করা। এই প্রস্তাবিত নিয়মগুলি সম্বন্ধে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত যে কেউ নিজের মতামত জানাতে পারবেন।

একাধিক এয়ারলাইন্সের একাধিক বিষয় নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ ক্রমেই বাড়ছিল। রিফান্ডে দেরি, অকারণে বিভিন্ন চার্জ কাটা, অথবা টাকা ফেরত না দিয়ে জোর করে কোনও ওয়ালেটে সেই টাকা ফেরত দেওয়া যাতে এই এয়ারলাইন্সের টিকিট কাটতেই সেই অর্থ খরচ করা যায়, এই ধরনের সমস্যায় নাজেহাল হচ্ছিলেন সাধারণ মানুষ। আর সেই ক্ষোভের মুখে এবার বড় পদক্ষেপ নিল DGCA বা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন।
নতুন খসড়া নির্দেশিকায় যাত্রীদের সুবিধা দিতে একাধিক প্রস্তাব আনা হয়েছে। মূল লক্ষ্য একটাই; বিমান টিকিট রিফান্ডের ক্ষেত্রে ন্যূনতম একটি মানদণ্ড স্থির করা। এই প্রস্তাবিত নিয়মগুলি সম্বন্ধে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত যে কেউ নিজের মতামত জানাতে পারবেন।
৪৮ ঘণ্টার ব্যাপারটা কী?
টিকিট বুক করার পর যাত্রীদের হাতে থাকবে ২ দিন বা ৪৮ ঘণ্টা। এই সময়ের মধ্যে টিকিট বাতিল বা সংশোধন করলে কোনও অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে না। এই সুবিধাটি DGCA-এর ‘লুক-ইন অপশন’। তবে একটি শর্ত আছে: ঘরোয়া ফ্লাইটের ক্ষেত্রে যাত্রার ৫ দিন আগে এবং আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ১৫ দিন আগে টিকিট বুক করলে তবেই এই সুবিধা মিলবে। এর ফলে তাড়াহুড়ো করে কেউ যদি টিকিটও কাটে, য়ার টিকিট কাটতে গিয়ে কোনও ভুল হয়, সেই ভুল শুধরে নেওয়ারও সুযোগ থাকবে।
এজেন্টের মাধ্যমে কাটা টিকিটের রিফান্ড করবে কে?
ট্র্যাভেল এজেন্ট বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে টিকিট কাটলে রিফান্ডের দায়িত্ব সরাসরি এয়ারলাইন্সের উপর বর্তাবে। DGCA স্পষ্ট জানিয়েছে, এজেন্টরা এয়ারলাইন্সের প্রতিনিধি। তাই রিফান্ডের পুরো প্রক্রিয়া ২১ কার্যদিবসের মধ্যে সম্পন্ন করা এয়ারলাইন্সের দায়িত্ব। ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্টের ক্ষেত্রে রিফান্ড দিতে হবে ৭ দিনের মধ্যে।
নামের বানানে ভুল হলে কি টাকা লাগবে?
যদি টিকিট কেনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীরা নিজেদের নামের বানানের ভুল সংশোধন করে, তবে এয়ারলাইন্স কোনও অতিরিক্ত চার্জ নিতে পারবে না। এই সুবিধা সরাসরি এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইট থেকে বুক করা টিকিটের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
রিফান্ডে আর কী কী পরিবর্তন আসছে?
ধরা যাক কেউ এই ৪৮ ঘণ্টার উইন্ডো মিস করলেন। সেই ক্ষেত্রে তাঁকে ক্যানসেলেশন চার্জ দিতে হবে। যে চার্জ কোনওভাবেই বেসিক ফেয়ার আর ফুয়েল সারচার্জের বেশি হতে পারবে না।
নো-শো বা টিকিট ব্যবহার না হলেও সমস্ত স্ট্যাটিউটরি ট্যাক্স এবং বিমানবন্দর ফি অবশ্যই ফেরত দিতে হবে।
রিফান্ডের পরিবর্তে টাকা এয়ারলাইন্সের ওয়ালেটে ফেরত দেওয়া হবে কিনা, তা যাত্রীর ইচ্ছার উপর নির্ভর করবে। এয়ারলাইন্স জোর করতে পারবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নিয়মগুলি চালু হলে এয়ারলাইন্সগুলির অস্বচ্ছতা কমবে ও যাত্রীদের মধ্যে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, সেই ক্ষোভ কমবে। সবচেয়ে বড় কথা DGCA-র এই প্রস্তাব কার্যকর হলে মধ্যবিত্ত শ্রেণির যাত্রীরা উপকৃত হবেন সবচেয়ে বেশি।
