Anand Mahindra: ‘বউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে বেশ ভালই লাগে’, এল অ্যান্ড টি কর্তার মন্তব্যে পাল্টা তোপ মাহিন্দ্রার

Anand Mahindra: 'এল অ্যান্ড টি' কর্তার এহেন মন্তব্যের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে নেটিজেনরা। আসরে নেমেছেন একাধিক সমাজমাধ্যম প্রভাবশালীও। এমন পরিস্থিতিতে মন্তব্য করতে বাকি রাখলেন না দেশের অন্যতম অটো মোবাইল প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রা।

Anand Mahindra: 'বউয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে বেশ ভালই লাগে', এল অ্যান্ড টি কর্তার মন্তব্যে পাল্টা তোপ মাহিন্দ্রার
মাহিন্দ্রা গোষ্ঠীর কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রাImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Jan 12, 2025 | 2:06 PM

নয়াদিল্লি: এল অ্যান্ড টি কর্তা এস এন সুব্রহ্মণ্যের ৯০ ঘণ্টা কাজের মন্তব্যের পাল্টা দিলেন মাহিন্দ্রা কর্তা আনন্দ মাহিন্দ্রা। কতক্ষণ কাজ করা হচ্ছে এর থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ কাজের গুণমানে কতটা জোর দেওয়া হচ্ছে, দাবি তাঁর।

কত ঘণ্টা কাজ করলে চাকরি জীবনে সাফল্য পাওয়া যাবে এই নিয়ে হামেশাই নানারকম মন্তব্য করে থাকেন বিভিন্ন গোষ্ঠীর কর্ণধাররা। ইনফোসিস কর্তা নারায়ণ মূর্তির ৭০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শের পর একই সুর গেয়ে উঠেছেন ‘লারসেন অ্যান্ড ট্যুব্রো’ সংস্থার কর্ণধার এস এন সুব্রহ্মণ্য। তাঁর দাবি, ‘সপ্তাহে অন্তত ৯০ ঘণ্টা কাজ করা উচিত। আর তাছাড়াও রবিবার দিন বাড়িতে থেকে কতক্ষণই বা বউয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকবেন?’

‘এল অ্যান্ড টি’ কর্তার এহেন মন্তব্যের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে নেটিজেনরা। আসরে নেমেছেন একাধিক সমাজমাধ্যম প্রভাবশালীও। এমন পরিস্থিতিতে মন্তব্য করতে বাকি রাখলেন না দেশের অন্যতম অটো মোবাইল প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার আনন্দ মাহিন্দ্রা। তাঁর কথায়, ‘আমার স্ত্রীকে এতই সুন্দর দেখতে যে আমি তাঁর দিকে তাকিয়ে থাকতে খুবই ভালবাসি।’

শুধু তা-ই নয়, তিনি আরও বলেন, ‘কাজের পরিমাণ না বাড়িয়ে, গুণগতমান বাড়াতে হবে। একজন কর্মী কত ঘণ্টা কাজ করছে তাতে কিছুই যায় আসে না। বরং তার কাজের ফলাফল কতটা যথাযথ বেরোচ্ছে, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি চাইলে গোটা বিশ্বকে মাত্র দশ ঘণ্টা কাজ করেই বদলে দিতে পারবেন।’

কর্মজীবনের মতোই পরিবার-পরিজনরাও গুরুত্বপূর্ণ। এদিন সেই প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন মাহিন্দ্রা কর্তা আনন্দ মাহিন্দ্রা। তাঁর দাবি, ‘যদি আপনি পরিবারের সঙ্গে সময় না কাটান, বন্ধবান্ধবদের সঙ্গে একটু আলাপ-আলোচনা না করেন। শুধু মাত্র নিজের কাজেই মুখ গুঁজে পড়ে থাকেন। তাহলে কীভাবেই বা নিজের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো ক্ষমতা তৈরি করবেন?’