Rajasthan Mobile Ban: প্রজাতন্ত্র দিবস থেকে মহিলাদের ক্যামেরা যুক্ত ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা! রাজস্থানে জারি নির্দেশিকা
Phone With Camera Banned in Rajasthan Village: সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সুজনরাম জানিয়েছেন, চৌধরি গোষ্ঠীর পঞ্চায়েতে পাঁচ সদস্যদের নিয়ে তৈরি পঞ্চ হিতারামেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পাঁচ সদস্য নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মোবাইল নিষিদ্ধ করার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। কিন্তু কোন যুক্তিতে?

জয়পুর: প্রজাতন্ত্র দিবস থেকে মহিলারা ব্যবহার করতে পারবেন না ক্য়ামেরা যুক্ত ফোন। রাজস্থানে জারি হল নির্দেশিকা। এমনকি, প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়ে অথবা জনসমক্ষে ফোনে কারওর সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না মহিলারা, সেই বিষয়টিও সাফ উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। যা ঘিরে তুমুল বিতর্ক। কিন্তু হঠাৎ কেন এই নির্দেশিকা?
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনা রাজস্থানের জালোর জেলার। সেখানেই ১৫টি গ্রামে জারি হয়েছে এমন নির্দেশিকা। জারি করেছে গ্রাম পঞ্চায়েত। রবিবার গাজীপুর গ্রামে চৌধরি সম্প্রদায়ের একটি সভায় এই নির্দেশ দেন ১৪টি মহকুমা (পট্টি)-র সভাপতি সুজনরাম চৌধরি। এই সভার সভাপতিত্ব তিনিই করছিলেন।
সংবাদসংস্থা পিটিআইকে সুজনরাম জানিয়েছেন, চৌধরি গোষ্ঠীর পঞ্চায়েতে পাঁচ সদস্যদের নিয়ে তৈরি পঞ্চ হিতারামেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পাঁচ সদস্য নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে মোবাইল নিষিদ্ধ করার এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। কিন্তু কোন যুক্তিতে?
সুজনরাম জানিয়েছেন, ‘স্কুলে পড়াশোনার জন্য মেয়েদের মোবাইল দিতেই হয়। কিন্তু সেটা তাঁরা শুধুমাত্র ঘরেই ব্যবহার করতে পারবেন। পুত্রবধূদেরও এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। ঘরের চার দেওয়ালের মধ্য়ে মোবাইল ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সেটা হতে হবে কি-প্যাড। কোনও ক্য়ামেরা থাকলে চলবে না। এমনকি, কোনও বিয়ে-সামাজিক অনুষ্ঠান এবং প্রতিবেশীদের বাড়িতেও মেয়েরা ফোন নিয়ে যেতে পারবেন না।’
স্বাভাবিক ভাবেই ‘পঞ্চ হিতারামের’ এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নির্দেশিকার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ফুঁসতে শুরু করেছেন একাংশ। পঞ্চায়েতী রাজের নামে ‘মধ্যযুগীয় ব্যবস্থা’ পরিচালনা হচ্ছে বলেই অভিযোগ একাংশের। এই আবহেই নির্দেশিকা নিয়ে সাফাই দিয়েছেন সুজনরাম। তাঁর দাবি, অনেক মহিলা বাড়ির কাজ নির্বিঘ্নে করার জন্য শিশুদের হাতে মোবাইল তুলে দেন। ফলে প্রায়শই শিশুরা বাড়ির মহিলাদের মোবাইল ব্যবহার করেন। যা শিশু মনে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে, যা রুখতেই এই নির্দেশিকা।
