Union Budget 2025: অস্বস্তি বাড়াচ্ছে পাক-বাংলাদেশ! তার মাঝেই গোয়েন্দা খাতে খরচ কমাল কেন্দ্র
Union Budget 2025: হিসাব বলছে, গোয়েন্দা খাতে নতুন বাজেটে ১০০ কোটি টাকা কমিয়ে দিয়েছে ভারত। গত বছর প্রতিরক্ষার এই খাতে ৩ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। নতুন বছরে সেই বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা।

নয়াদিল্লি: গোয়েন্দা খাতে খরচ কমাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। শনিবার, দেশের সংসদে দাঁড়িয়ে নিজের মন্ত্রীত্ব জীবনের অষ্টম বাজেট পেশ করলেন তিনি। শিক্ষা-স্বাস্থ্য প্রতিটি খাতে হাত খুলে খরচ করলেন নির্মলা। বাজেট বাড়ালেন প্রতিরক্ষা খাতেও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় প্রতিরক্ষা খাতে ১২ শতাংশ বরাদ্দ বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, মূলত সামরিক বাহিনীর তিন শাখার অস্ত্র, সরঞ্জাম কেনা ও আধুনিকীকরণের কাজেই বাড়তি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে অর্থমন্ত্রক তরফে। এক দিকে বাংলাদেশে তৈরি হওয়া অস্থিরতা। অন্যদিকে, তলে তলে পাকিস্তানের বাংলাদেশের প্রতি বাড়তে থাকা প্রীতি। আবার মাথার উপরে চিনের ইঙ্গিতবাহী হুমকি-হুঁশিয়ারি। সব মিলিয়ে নিরাপত্তার জন্য প্রতিরক্ষায় আরও জোর দেওয়া দরকার, এমনটা আগাগোড়াই বলে আসছে ওয়াকিবহাল মহল।
এই বারের বাজেটে প্রতিরক্ষায় সেই বাড়তি জোরের দিকেই নজর দিয়েছে অর্থমন্ত্রক। কিন্তু নজর দেওয়া হয়নি একটি বিষয়ে। নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা দ্বিতীয় ধাপ। তবে প্রথম ধাপ কোনটি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিরক্ষারও আগে পরে গোয়েন্দা। জাতীয় সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে কিনা তা তারা আগাম জানাতে পারে। কিন্তু সেই গোয়েন্দা খাতে চলতি বছরে বরাদ্দ কমিয়ে দিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে, নতুন অর্থবর্ষে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয় বা ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিল সেক্রেটারিয়েটের জন্য মোট ১৮২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। গত বছর এই বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ২৭০ কোটি টাকা।
হিসাব বলছে, গোয়েন্দা খাতে নতুন বাজেটে ১০০ কোটি টাকা কমিয়ে দিয়েছে ভারত। গত বছর প্রতিরক্ষার এই খাতে ৩ হাজার ৯৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্র। নতুন বছরে সেই বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা।
কিন্তু যখন দেশজুড়ে এমন শঙ্কার আবহ। পা টিপে টিপে ভারতের দিকে এগনোর চেষ্টা করছে শত্রুরা। এমন অবস্থায় গোয়েন্দা বরাদ্দ কমানো আদতেই কি যুক্তিযুক্ত? গোপন সূত্রে খবর, বরাদ্দ কমানোর মাধ্য়মে নিরাপত্তায় কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে কেন্দ্র। বরং নিয়োগ বা কর্মী সংখ্যা কমাতেই এত টাকা ছেঁটে দিয়েছে তারা।





