BSNL: প্রায় দু’দশক পরে লাভের মুখ দেখল BSNL! এবার আরও কম দামে পাবেন পরিষেবা?
নিজের এক্স মাধ্যমে একটি পোস্ট করে জ্যোতিরাদিত্য লেখেন, "১৮ বছরে প্রথমবার পর পর কোয়ার্টারে লাভের মুখ দেখল বিএসএনএল। শেষবার এই লাভ হয়েছিল ২০০৭ সালে।"

প্রায় দু’দশকের আর্থিক ফাঁড়া যেন কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল। গত আর্থিক বছরের শেষ কোয়ার্টারেও প্রায় ২৮০ কোটি টাকার মুনাফা অর্জন করেছে বিএসএনএল। এই নিয়ে পর পর দুটি কোয়ার্টারে লাভের ঘরে থাকল সংস্থা। যা ফের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বাজারে ফিরে আসাকেই ইঙ্গিত করে।
প্রসঙ্গত, বলে রাখা ভাল, লাভের মুখ দেখার জন্য দীর্ঘ দিন নানা উপায় অবলম্বন করেছে এই সংস্থা। ঠিক এক বছর আগেও ওই একই কোয়ার্টারে প্রায় ৮৪৯ কোটি টাকা লোকসান করেছিল বিএসএনএল। এক বছরের প্রায় ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরেছে চাকা। কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া একটি সাংবাদিক বৈঠকে এই ঘোষণা করেন।
নিজের এক্স মাধ্যমে একটি পোস্ট করে জ্যোতিরাদিত্য লেখেন, “১৮ বছরে প্রথমবার পর পর কোয়ার্টারে লাভের মুখ দেখল বিএসএনএল। শেষবার এই লাভ হয়েছিল ২০০৭ সালে।”
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরেই এই পরিবর্তন বলেই দাবি করেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, কোয়ার্টারে ৪-এ ২৮০ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে বিএসএনএল। এমনকি কোয়ার্টারে ৩-এ ২৬১ কোটি টাকা মুনাফা লাভ করেছিল বিএসএনএল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি মোদী সরকার যে পাবলিক সেক্টরগুলিকে উজ্জীবিত করে তুলতে সচেষ্ট সেটাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।
সিন্ধিয়া নিজের পোস্টে লেখেন, “কংগ্রেস আমলে ১৪,৯৭৯ কোটি টাকা লোকসানের ১৭ বছর পর ফের পরপর লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে বিএসএনএল।”
কোয়ার্টার ৩ অর্থাৎ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরে বিএসএনএল ২৬২ কোটি টাকা মুনাফা লাভ করে। যার ফলে ২০২৫ অর্থবর্ষে লসের পরিমাণ ৫৩৭০ কোটি টাকা থেকে কমে ২২৪৭ কোটি টাকা হতে পারে বলে ধারণা। সংস্থার অপারেটং রেভিনিউ ৭.৮% বৃদ্ধি পেয়ে চলতি ফিসক্যাল বছরে হয়েছে ২০,৮৪১ কোটি। যা গত ফিসক্যাল বছরে ছিল ১৯,৩৩০ কোটি।
বিএসএনএল-এর চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ রবার্ট জে রবি এই সাফল্যের পিছনে প্রফেশনাল ম্যানেজমেন্ট, সরকারির ঐকান্তিক চেষ্টা এবং সাহায্যের কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “বিএসএনএল শুধু ফিরে আসেনি, নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছে। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে ৪জি এবং ৫জি নেটওয়ার্ক সার্ভিস চালু করার ফলে আমরা এই বিষয়ে আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী। আরও কম খরচে পরিষেবা দিতে পারব আমরা।”
