
কলকাতা: তৃতীয় মোদী সরকাররের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী। অষ্টমবারের জন্য বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। সুরাহা মিলবে কী আয় করে? কর্মসংস্থানে কী দিশা দেখা দেখাবে মোদী সরকার? আমজনতার আশা-আকাঙ্খা কী পূরণ হবে? কতটাই বা প্রাপ্তি যোগ রয়েছে বাংলার? কতটা স্বস্তি পাবে মধ্যবিত্ত? কৌতূহলের অন্ত নেই। জনমানসে চলছে চর্চা। হাওড়া স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছিল টিভি ৯ বাংলা। উঠে এল নানা মত।
কেউ বলছেন, আশা আছে। কেউ বলছেন আশা রেখে কী লাভ, কাজের কাজ তো কিছুই হয় না। মধ্যবিত্ত যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে যাচ্ছে। একজন তো বলেই দিলেন, “প্রত্যেক বছরই তো আশা অনেক থাকে। কিন্তু আশা তো অপূর্ণই থেকে যায়।” তবে ইনকাম ট্যাক্সে পরিবর্তন চাইছেন অনেকেই। একজন বলছেন, “আয় করে যাতে বড় পরিবর্তন আসে সেই আশা তো থাকছে। মধ্যমিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত, সাধারণ চাকুরিজীবীদের জন্য ট্যাক্সে কিছুটা ছাড় তো আশা করছিই।”
আর একজন বলছেন, “প্রত্যেকবারই তো আশা অনেক থাকে। কিন্তু, দিনের শেষে তো কিছুই হয় না। নির্মলা সীতারমন যেভাবে চালাচ্ছেন এখন দেখা যাক কী হয়। তেলের দাম কমলে তো সব কিছুতেই তার একটা ছাপ দেখা যায়। এখন দেখার দাম কমে কিনা।” মধ্যবিত্তের মধ্যে ক্ষোভ যে রয়েছে তা ভালই স্পষ্ট। খানিক হতাশার সুরেই একজন বললেন, “সংসারের খরচ জোগাতে গিয়ে বিনিয়োগের কথা ভাবা তো সম্ভবই হচ্ছে না। আমাদের দিদিমণি যা খেলা দেখাচ্ছেন তাতে আমাদের ওষুধ কেনার টাকা জুটবে কিনা ভাবতে হচ্ছে।” উদ্বেগ রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস নিয়েও। সাধারণ মানুষের সাফ কথা, “নিত্য়প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম মানুষের নাগালে রাখতে হবে। দাম না বাড়িয়ে কমালে ভাল হয়।” শহরেরই এক ওষুধের দোকানদার আবার বলছে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার বাড়ানোর কথা। তাঁর দাবি, যেভাবে সব জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে সে ক্ষেত্রে স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার না বাড়ালেন আম-আদমির নিস্তার নেই।