Dhanteras: স্ত্রীদের জন্য ‘গোপন কথা’, ধনতেরাসে এভাবে সোনা কিনলে খুশি হবেন স্বামীও
Gold Jewellery: জনপ্রিয় রীতি বা নিয়ম হল ধনতেরাসে সোনা কেনা (Gold Buying)। শুধু ধর্মীয় আচার বলেই নয়, সোনা কেনা অত্যন্ত ভাল বিনিয়োগও বটে। গহনা হোক বা সোনার কয়েন, ধনতেরাসে সকলেই টুকিটাকি কিছু একটা কিনে ফেলেন। তবে সোনা কেনার সময়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত।
নয়া দিল্লি: আর দিনকয়েক বাদেই ধনতেরাস (Danteras)। কুবেরকে সন্তুষ্ট করতে একাধিক নিয়ম-আচার পালন করা হয়। এরমধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় রীতি বা নিয়ম হল ধনতেরাসে সোনা কেনা (Gold Buying)। শুধু ধর্মীয় আচার বলেই নয়, সোনা কেনা অত্যন্ত ভাল বিনিয়োগও বটে। গহনা হোক বা সোনার কয়েন, ধনতেরাসে সকলেই টুকিটাকি কিছু একটা কিনে ফেলেন। তবে সোনা কেনার সময়ে অত্যন্ত সতর্ক থাকা উচিত। যদি এই বিষয়গুলি সম্পর্কে অবগত না থাকেন, তবে ঠকে যেতে পারেন।
সোনা কেনার সময় যে বিষয়গুলি অবশ্যই মাথায় রাখবেন-
সার্টিফায়েড সোনা কিনুন- সোনা কেনার সময়ে তা অবশ্যই ব্যুরো অব ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডের সার্টিফিকেট প্রাপ্ত কি না, তা জেনে নিন। বিআইএস হলমার্ক হল বিশুদ্ধতার প্রমাণপত্র। এই হলমার্কে কেন্দ্র, গহনা প্রস্তুতকারকের চিহ্ন ও কোন বছরে গহনা তৈরি হয়েছে, তা উল্লেখ করা থাকে। তাই অবশ্যই হলমার্ক যুক্ত সোনা-ই কিনুন। পরবর্তী সময়ে সোনার গহনা বিক্রি বা এক্সচেঞ্জও করতে পারবেন না যদি তাতে হলমার্ক চিহ্ন না থাকে।
সোনার বিশুদ্ধতা যাচাই– সোনার বিশুদ্ধতা মাপা হয় ক্যারেটে। সবথেকে বিশুদ্ধ সোনা মনে করা হয় ২৪ ক্যারেট সোনাকে। ভারতে মূলত তিন ধরনের সোনা পাওয়া যায়। ২৪, ২২ ও ১৮ ক্যারেটের। আপনার বাজেট যেমন, সেই অনুযায়ী সোনার বিশুদ্ধতা হবে। অল্প টাকায় সোনা কিনতে গেলে, আপনাকে ১৮ বা ২২ ক্যারেটের সোনা কিনতে হবে। ২৪ ক্যারেটকে সবথেকে বিশুদ্ধ সোনা মনে করা হলেও, গহনা সাধারণত ২২ বা ১৮ ক্যারেটেরই হয়।
দামের বিচার- বিভিন্ন গহনা বিক্রেতার কাছে সোনার দাম ভিন্ন হয়। তাই কোনও গহনা কেনার আগে কয়েকটি দোকান ঘুরে সোনার দামের বিচার করে নিন। বাজারেও সোনার দাম কত, তা জেনে রাখুন গহনা কেনার আগে। এতে আপনি নায্য দামে সঠিক সোনার গহনা কিনতে পারবেন।
মেকিং চার্জ- সোনার দামের উপরে বসে গহনা প্রস্তুতকারকের মজুরি, যাকে মেকিং চার্জ বলা হয়। গহনার ডিজাইন যত সূক্ষ্ম হবে, ততই মেকিং চার্জ বেশি হবে। গহনা কেনার আগে অবশ্যই দোকানদারের কাছ থেকে মেকিং চার্জ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। তাহলে ঠকার সম্ভাবনা কম।
বাই-ব্যাক পলিসি– গহনা কেনার আগে, বাই-ব্যাক পলিসি সম্পর্কেও জেনে রাখা জরুরি। এতে পরবর্তী সময়ে গহনা বিক্রি করার সময় কত টাকা পাবেন, সে সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা থাকবে।
পাকা বিল– গহনা কেনার সময়ে অবশ্যই সঠিক ইনভয়েস ও নথি সংগ্রহ করবেন। কারণ পাকা বিলেই সোনার বিশুদ্ধতা, ওজন ও মেকিং চার্জের উল্লেখ থাকে। ভবিষ্যতে গহনা পরিবর্তন বা বিক্রি করার ক্ষেত্রে পাকা বিল রাখা অত্য়ন্ত জরুরি।
ডিসকাউন্ট ও অফার সম্পর্কে খবর রাখুন– উৎসবের মরশুমে বিভিন্ন গহনা প্রস্তুতকারক সংস্থাই বিশেষ ছাড় ও অফার দেয়। গহনা কেনার আগে এই বিষয়গুলির দিকে নজর রাখুন, এতেও আপনার কিছুটা