নয়াদিল্লি : অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবায় টিকিটের দাম আরও বাড়তে পারে। কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকায় এমনটাই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করার পর থেকেই অন্তর্দেশীয় বিমানে যাত্রীসংখ্যা বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিমানে যাত্রী নেওয়ার সর্বোচ্চ সীমাও কিছুটা বাড়িয়েছে কেন্দ্র। নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, ৭২.৫ শতাংশ আসনসংখ্যার বদলে ৮৫ শতাংশ আসন ব্যবহার করার অনুমতি পেয়েছে উড়ান সংস্থাগুলি। কিন্তু একইসঙ্গে সরকারের বেঁধে দেওয়া বিমানের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়ার সীমা কার্যকর থাকার দিনও কমিয়ে আনা হচ্ছে।
আগের নির্দেশ অনুযায়ী, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভাড়া ৩০ দিন পর্যন্ত কার্যকর ছিল। অর্থাৎ, আপনার টিকিট কাটার দিন থেকে বিমান যাত্রা দিনের ব্যবধান যদি ৩০ বা তার কম হয়, তাহলে কেন্দ্রের নির্ধারিত দামের মধ্যেই টিকিট বিক্রি করতে হত সংস্থাগুলিকে। কিন্তু এই ব্যবধান ৩০ দিনের বেশি হয়ে গেলে সংস্থাগুলি নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়া করতে পারে টিকিটের জন্য। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা কার্যকর ছিল না।
কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রের বেঁধে দেওয়া বিমান ভাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন সীমা ৩০ দিন থেকে কমে ১৫ দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। অর্থাৎ, এখন থেকে বিমানযাত্রার দিন এবং টিকিট কাটার দিনের ব্যবধান হতে হবে ১৫ বা তার কম। তাহলেই কেন্দ্রের নির্ধারিত মূল্যে আপনি বিমানের টিকিট কাটতে পারবেন।
অর্থাৎ, যদি আপনি আজ (২০ সেপ্টেম্বর) টিকিট কাটেন, সেক্ষেত্রে আপনার বিমান যাত্রার দিন ৪ অক্টোবর বা তার আগে হলে তবেই আপনি কেন্দ্রের নির্ধারিত বিমান ভাড়ার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মাত্রার সুবিধা পাবেন। কিন্তু তার পরে হয়ে গেলেই সংশ্লিষ্ট উড়ান সংস্থা নিজের ইচ্ছা মতো বিমান ভাড়া বাড়াতে বা কমাতে পারে।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতি এবং তারপর লকডাউনের জেরে বড়সড় অঙ্কের ধাক্কা খেয়েছিল উড়ান সংস্থাগুলি। আর তারপর থেকেই সেই ধাক্কা সামাল দিতে লাগামছাড়া ভাবে বিমান ভাড়া বাড়াতে শুরু করেছিল সংস্থাগুলি। ফলে সংস্থাগুলির অবস্থা একেবারে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিল। আর সেই কারণেই কেন্দ্রের তরফে বাধ্য হয়েই অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবার ভাড়া বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে লকডাউন শুরু হয়Do। সেই সময় থেকেই বন্ধ ছিল উড়ান পরিষেবা। পরে ওই বছরেরই মে মাসে অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবা চালু হলেও সেভাবে লাভের মুখ দেখেনি সংস্থাগুলি।
এরপর দ্বিতীয় ঢেউ চলে আসার পরে আবারও অন্তর্দেশীয় উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রে বেশ কিছু কড়াকড়ি করা হয়। ফলে বিমান সংস্থাগুলি সেভাবে লাভবান হতে পারেনি। তবে এখন যাত্রীদের আনাগোনা বাড়তেই ফের চাঙ্গা হতে শুরু করেছে উড়ান সংস্থাগুলি।
আরও পড়ুন : IndiGo Share: যাত্রী সংখ্যা বাড়তেই দালাল স্ট্রিটে ‘টেক অফ’ ইন্ডিগোর