Employees’ Provident Fund Organisation: PF অ্যাকাউন্ট থেকে দুমদাম টাকা তুলছেন? নষ্ট হতে পারে আপনার জমানো টাকার ৩০ শতাংশই!
EPFO: অনেকেই নিজেদের এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। কিন্তু এর ফলে এই EPF অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের উপর প্রায় ৩০ শতাংশ করের বোঝা চাপতে পারে।

ভারতীয়দের মধ্যে একটা ট্রেন্ড লক্ষ্য করা যায়। প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ কোটি টাকা নিজেদের এমপ্লয়ি প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নিচ্ছে তারা। কিন্তু এর ফলে এই ইপিএফ অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের উপর প্রায় ৩০ শতাংশ করের বোঝা চাপতে পারে। যদিও, মনে করা হয়, ইপিএফ আসলে করের ইইই মডেল ফলো করে।
ইপিএফের টাকা তখনই তোলার নিয়ম যখন কেউ অবসর নিয়ে নিয়েছে বা চাকরি হারিয়েছে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরই কোনও ব্যক্তি তার পিএফ অ্যাকাউন্টের পুরো টাকা তুলতে পারে। বা কেউ যদি ২ মাসের বেশি সময় ধরে কর্মহীন থাকে, তবেই সেই এই টাকা তোলার যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। যদিও, মেডিক্যাল এমার্জেন্সি, কোনও বাড়ি কেনা বা উচ্চ শিক্ষার মতো কারণ দেখিয়েও ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলা যায়। কিন্তু, বেশ কিছু নিয়ম এমন রয়েছে যাতে এর উপর কর চাপতে পারে।
ট্যাক্স বাডির প্রতিষ্ঠাতা সুজিত বাঙ্গার বলছেন, সেকশন ৮০সি ও ৮০সিসিডি অধীনে ইপিএফ ইইই মডেলে কাজ করে। ইপিএফ অ্যাকাউন্টের সুদের উপর কোনও কর নেই। বা ম্যাচিওরিটিতে এই অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তোলাতেও কোনও কর লাগে না। কিন্তু, হিসাব যদি একটু এদিক ওদিক হয়ে যায় তাহলে ইপিএফই একটি ফাঁদে পরিণত হয়।
অন্তত ৫ বছর কেউ যদি চাকরি করে তাহলে তার জন্য ইপিএফ থেকে টাকা তোলা পুরোপুরি ট্যাক্স ফ্রি হয়। অবসর, মেডিক্যাল এমার্জেন্সিও এর মধ্যেই পড়ে। কিন্তু ৫ বছরের আগে কেউ যদি পিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে তাকা তুলতে চায়, তাহলে তাকে করের একাধিক স্তরের মধ্যে পড়তে হবে। আর তার ইপিএফ অ্যাকাউন্টের অনেক টাকাই কর হিসাবে কেটে যাবে।





