অবস্থান বদলে পেট্রোপণ্যকে জিএসটি’র আওতায় আনার কথা নির্মলার মুখে

সমগ্র অর্থবর্ষের শেষে এই রাজস্বের পরিমাণ বেড়ে হতে পারে ন্যূনতম ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা। এর থেকেই স্পষ্ট কেন্দ্র পেট্রোপণ্য থেকে কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে।

অবস্থান বদলে পেট্রোপণ্যকে জিএসটি’র আওতায় আনার কথা নির্মলার মুখে
ফাইল চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Mar 23, 2021 | 7:30 PM

কলকাতা: মাত্র সাত দিন আগেই জানিয়েছিলেন, পেট্রোল-ডিজেলকে (Petrol-Diesel) জিএসটি’র আওতায় আনার কোনও পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। সেই অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন লোকসভায় বলেন, “পেট্রোল ও ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনার জন্য সদস্যরা অনুরোধ করেছেন। পেট্রোপণ্যের উপর কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়েরই কর রয়েছে। তবে মূল কথা হল, পেট্রোপণ্যের দাম ক্রমশই বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে আমার মনে হয়, পরবর্তী জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এই বিষয়টি উত্থাপিত হলে, তা নিয়ে আলোচনা হতেই পারে। এই নিয়ে আলোচনা করতে কেন্দ্রের সেরকম কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।”

প্রসঙ্গত, ১৫ মার্চ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রীই জানিয়েছিলেন, পেট্রোল, ডিজেল, অপরিশোধিত তেল, বিমানের জ্বালানি কিংবা প্রাকৃতিক গ্যাস কোনওকিছুকেই জিএসটি’র আওতায় আনার পরিকল্পনা নেই কেন্দ্রের। ফলে এই নিয়ে মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন। কিন্তু এই পণ্যের দামই যে পাঁচ রাজ্যে আগামী নির্বাচনে বিজেপির মাথাব্যাথার কারণ হতে চলেছে, তা স্পষ্ট। সেই পরিপ্রেক্ষিতে দাঁড়িয়েই এবার অবস্থান বদলে পেট্রোপণ্যকে জিএসটি’র আওতায় আনার কথা সংসদে দাঁড়িয়েই বললেন নির্মলা।

প্রসঙ্গত, ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে পেট্রোপণ্যের দাম কোনওরকম বৃদ্ধি করেনি তেল সংস্থাগুলি। তবে নির্বাচন মিটে গেলেই তা ফের বাড়ানো হবে বলেই মনে করছে তৃণমূল-সহ সব বিরোধী দল। উল্লেখ্য, গতকালই সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থপ্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর জানিয়েছিলেন, চলতি অর্থবর্ষের প্রথম দশ মাসে (এপ্রিল-জানুয়ারি) পেট্রোপণ্য থেকে কেন্দ্র রাজস্ব আদায় করেছে প্রায় ২.৯৪ লক্ষ কোটি টাকা। সমগ্র অর্থবর্ষের শেষে এই রাজস্বের পরিমাণ বেড়ে হতে পারে ন্যূনতম ৩.৫ লক্ষ কোটি টাকা। এর থেকেই স্পষ্ট কেন্দ্র পেট্রোপণ্য থেকে কী পরিমাণ রাজস্ব আদায় করে।

গত অর্থবর্ষে (২০১৯-২০) এই খাতে কেন্দ্র রাজস্ব বাবদ ৩.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছিল। গত এক বছরে এই দুই পেট্রোপণ্যে উৎপাদন শুল্ক এতটাই বৃদ্ধি হয়েছে, যাতে লকডাউনে বিক্রি কম হওয়া সত্ত্বেও এই খাতে রাজস্ব আদায় বেশ কিছুটাই বাড়বে। তবে এই পণ্যগুলিকে জিএসটি’র আওতায় নিয়ে এলে তাতে খোলা বাজারে দাম যেমন কমবে, তেমনি কেন্দ্র ও রাজ্যের রাজস্ব বাবদ আয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমবে বলেই জানিয়েছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন: ডিসকর্ডের ব্যবসা কিনতে চলেছে বিল গেটসের সংস্থা! জল্পনা তুঙ্গে