কলকাতা: কথায় আছে “মাছে ভাতে বাঙালি” অর্থাৎ বাঙালি যেখানেই যাক দুপুরের আহারে মাছ ভাত চাই ই চাই। অবশ্য এতে সমস্যার কিছুই নেই, বাঙালিরা যেখানেই যায় “মাছ ভাতের হোটেল” একটা অবশ্যই জোগাড় করে নেয়। শুধুমাত্র ট্রেনে যাত্রার সময়েই বাঙালিকে একটি ম্যানেজ করতে হয় “মাছ ভাত” ছাড়া দুপুরের খাবারটা। তবে সেই চিন্তারও এখন অবসান হয়েছে। এবার ট্রেনেই কবজি ডুবিয়ে খান।
এবার থেকে হাওড়া -নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে মিলবে দারুণ সব বাঙালি খাবার। বাংলার সমৃদ্ধ ও ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন সুস্বাদু খাবারের পদগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মেনুতে। যেমন প্রাতরাশ বা ব্রেকফাস্টে ব্রেড-অমলেটের বদলে থাকবে ত্রিকোণ পরোটা, ছোলার ডাল, মাল্টিগ্রেন আটার রুটি। লাঞ্চ অথবা ডিনারের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বাসন্তী পোলাও, চিকেন কষা, ফিস ফ্রাই, ধোকা অথবা ছানার ডালনা।
মেনুতে থাকবে সোনামুগের ডাল, বাঙালির অতিপ্রিয় মাছের ঝোল, সর্ষে মাছ, মিষ্টি দই, সন্দেশ এবং ক্ষীরকদম। প্রাতরাশ থেকে দুপুর ও রাতের খাবারে বাঙালির পছন্দের খাবারগুলিকে মেনুর অংশ করা হয়েছে। এবার থেকে পাহাড়ে ঘুরতে গেলে, বন্দে ভারতে চাপলেই চেনা ভাত-রুটির বদলে মিলবে বাসন্তী পোলাও-চিকেন কষা।
হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, তার উচ্চ-গতির ক্ষমতা এবং বিলাসবহুল সুযোগ-সুবিধার জন্য বিখ্যাত ৷ যাত্রীদের জন্য একটি অতুলনীয় অভিজ্ঞতার পাশাপাশি রেল যাত্রাকে আরও উল্লেখযোগ্য করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। হাওড়া-নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সাফল্য ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।