Gem Industry: সোনা-রুপো অতীত! এবার হীরা-পান্নার বড় বাজার হয়ে উঠতে চলেছে ভারত
Gem industry: ভারতে রত্ন ও গয়নার ব্যবসা দ্রুত বাড়ছে। হীরা এবং অন্যান্য গয়না ছাড়া মূল্যবান রঙিন পাথরের ব্যবসাও বেশ বড়। ২০২৩ সালে ভারতে রত্ন-পাথরের ব্যবসার মূল্য হবে ৭০.৭৮ কোটি ডলার (প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা)। এটি প্রতি বছর ১০ শতাংশের বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
নয়া দিল্লি: সোনা, রুপোর গয়নার প্রতি ভারতীয়দের ভালবাসার কথা গোটা বিশ্ব জানে। ভারত সোনার অন্যতম বড় আমদানিকারক। কিন্তু, এখন সময় বদলাচ্ছে। এখন ভারতে হীরা, পান্না এবং অন্যান্য রঙিন পাথরের (রত্ন পাথর) চাহিদা বাড়ছে। স্বাভাবিকভাবে এগুলির ব্যবসাও দ্রুত বাড়ছে। ভারতে হীরা, রত্ন এবং রঙিন পাথরের প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র গুজরাট এবং রাজস্থান। গুজরাটের সুরাট বিশ্বের বৃহত্তম হীরার বাজার। রাজস্থানের জয়পুর রত্ন এবং রঙিন পাথরের অন্যতম বড় বাজার। রফতানির ক্ষেত্রেও বিশ্বে ভারতের একটি বিশেষ জায়গা রয়েছে।
বিশ্বের বৃহত্তম রফতানিকারকদের মধ্যে একটি ভারত
বিশ্বের মোট রত্ন ও গয়না রফতানিতে ভারতের অংশ ৩.৫ শতাংশ। সেক্ষেত্রে ভারত বিশ্বের শীর্ষ ৭ রফতানিকারকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। আর হীরা রফতানিতে ভারত বিশ্বের এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে। ভারত বিশ্বের প্রায় ২৯ শতাংশ হীরা রফতানি করে। যেখানে ল্যাব-উৎপাদিত হীরা এবং অন্যান্য মূল্যবান পাথরের ক্ষেত্রে ভারতের রফতানিতে ৩২.৭ অংশ রয়েছে।
১০০ বিলিয়ন ডলারের শিল্প গড়ে উঠবে
ভারতে রত্ন ও গয়নার ব্যবসা দ্রুত বাড়ছে। হীরা এবং অন্যান্য গয়না ছাড়া মূল্যবান রঙিন পাথরের ব্যবসাও বেশ বড়। ২০২৩ সালে ভারতে রত্ন-পাথরের ব্যবসার মূল্য হবে ৭০.৭৮ কোটি ডলার (প্রায় ৬০০০ কোটি টাকা)। এটি প্রতি বছর ১০ শতাংশের বেশি হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারের প্রবণতা অনুসারে, ২০২৩ সালের মধ্যে এই ব্যবসা প্রায় ১৫,৬৭৫ কোটি টাকায় পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রত্ন এবং গয়নার সামগ্রিক ব্যবসার দেখলে দেখা যাবে, ২০২৭ সালের মধ্যে রফতানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে (প্রায় ৮.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা) পৌঁছতে পারে। ভারত সরকার এর জন্য অনেক পদক্ষেপ করেছে। সরকার সংযুক্ত আরব আমির শাহির সঙ্গে একটি এফটিএ স্বাক্ষর করেছে যা আমেরিকায় রত্ন রফতানি বাড়াতে সহায়তা করবে। এছাড়া পলিশড হীরার শুল্ক ৭.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং এবং মূল্যবান রঙিন পাথরের ক্ষেত্রে শূন্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।