Nirmala Sitharaman on Bitcoin: বিটকয়েনকে মুদ্রার স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও প্রস্তাব নেই, জানালেন নির্মলা
Parliament Winter Session : বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন সংক্রান্ত কোনও তথ্য জোগাড় করে না কেন্দ্রীয় সরকার। বললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
নয়া দিল্লি : বিটকয়েনকে প্রচলিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কোনও প্রস্তাব গ্রহণ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে লোকসভায় এমনটাই জানালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পাশাপাশি তিনি এও জানান যে, বিটকয়েনের মাধ্যমে লেনদেন সংক্রান্ত কোনও তথ্য জোগাড় করে না কেন্দ্রীয় সরকার।
আজ সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয়, বিটকয়েনকে প্রচলিত মুদ্রা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কোনও প্রস্তাব সরকারের কাছে রয়েছে কি না। তার জবাবে নির্মলা জানিয়েছেন, এমন কোনও প্রস্তাব নেই কেন্দ্রের।
বিটকয়েন হল এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা। এই বিটকয়েন ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তি ব্যাঙ্ক, ক্রেডিট বা অন্য কোনও তৃতীয় পক্ষকে জড়িত না করেই নিজের প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিষেবা কিনতে পারেন এবং আর্থিক লেনদেন করতে পারেন।
২০০৮ সালে এক ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে বাজারে আত্মপ্রকাশ করেছিল বিটকয়েন। যাঁরা এই বিটকয়েন বাজারে নিয়ে এসেছিলেন, সেই প্রোগ্রামারদের পরিচয় এখনও অজানা। এই বিটকয়েনকে এক প্রকার ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেম হিসাবে চালু করা হয়েছিল। একাধিক রিপোর্টে প্রকাশ, এটিই বিশ্বের প্রথম বিকেন্দ্রীকৃত ডিজিটাল মুদ্রা যেখানে কোনওরকম মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই লেনদেন হয়।
ইতিমধ্যে, কেন্দ্রীয় সরকার সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যান্ড রেগুলেশন অব অফিশিয়াল ডিজিটাল কারেন্সি বিল, ২০২১ পেশ করার পরিকল্পনা করছে। এই বিলটির মাধ্যমে ভারতের রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক দ্বারা অনুমোদিত একটি ডিজিটাল মুদ্রা তৈরি করার পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্র। একইসঙ্গে, বাজারে চলতি বেসরকারি (অনিয়ন্ত্রিত) ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করারও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সংসদে আজ অন্য একটি প্রশ্নের উত্তরে, নির্মলা সীতারমন বলেন, চলতি আর্থিক বছরের এপ্রিল মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মন্ত্রক এবং বিভাগগুলি মূলধন ব্যয় হিসাবে ২.২৯ লক্ষ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি ২০২১-২০২২ আর্থিক বছরের জন্য ৫.৫৪ লক্ষ কোটির বাজেট এস্টিমেটের (BE)৪১ শতাংশ। তিনি বলেন, “চলতি আর্থিক বছরে প্রকৃত ব্যয় ২০২০-২০২১ আর্থিক বছরের সংশ্লিষ্ট ব্যয়ের তুলনায় প্রায় ৩৮ শতাংশ বেশি।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে অতি সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ‘দ্য সিডনি ডায়লগ’-এ ভারতের প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বিবর্তন সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি গণতান্ত্রিক দেশকে একযোগে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কাজ করতে হবে, যাতে এটি ভুল কারও হাতে না পড়ে।
এই মুহূর্তে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিনিয়োগের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে সচেতনতাও বাড়ছে, সঙ্গে বাড়ছে বিনিয়োগও। ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আগেই সতর্ক করেন সকলকে। তিনি বলেন, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমস্ত গণতান্ত্রিক দেশ যেন ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে একযোগে কাজ করে। ভুল হাতে পড়ে আমাদের যুব সম্প্রদায়কে যাতে বিপথে চালিত না করে, তা নিশ্চিত করতে হবে।”