
নয়া দিল্লি: কেন্দ্রের বড় ঘোষণা। কমল জিএসটির হার। দুটি জিএসটির স্ল্যাব প্রত্যাহার করে নেওয়া হল। বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর জিএসটি কাউন্সিলের তরফে জিএসটি সংস্কারের ঘোষণা করা হয়। এবার শুধুমাত্র ৫ শতাংশ ও ১৮ শতাংশের জিএসটি স্ল্যাব থাকবে। দাম কমবে বহু সামগ্রীর। তবে এতে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে রাজ্যগুলিকে। কমবে তাদের রাজস্ব।
৫৬তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “রাজ্য ও কেন্দ্র একই টেবিলে বসে রয়েছে। এমন নয় যে রাজ্যের ক্ষতি হলে, কেন্দ্রের লাভ হবে। রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতি হলে, কেন্দ্রেরও ক্ষতি হবে। কারণ এটা ৫০-৫০ অংশীদারিত্ব। বরং কেন্দ্রের বেশি ক্ষতি হবে। জিএসটি রেট কমলে তবেই বোঝা যাবে।”
জিএসটিতে রাজস্ব ক্ষতি নিয়ে রাজস্ব সেক্রেটারি অরবিন্দ শ্রীবাস্তব বলেন, “রাজস্ব ক্ষতি নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠছে। এটা বুঝতে হবে যে কর পরিকাঠামো সংস্কার। খাবার, শ্রম সহ বিভিন্ন জিনিসে কর দিতে হয়। এটা পরিবর্তনশীল। পুরনো তথ্যের উপরে ভিত্তি করে রিপোর্ট তৈরি করলেও, বাজার পরিবর্তনশীল। বিশেষজ্ঞদের মতামত ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
মদ, পেট্রোল ও রিয়েল এস্টেটের উপরে আলাদাভাবে রাজ্য জিএসটি বসানোর আর্জি জানিয়েছিল ৮টি রাজ্য। এই নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হয়েছে বা আলোচনা হয়েছে কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, “বিগত দেড় বছর ধরে আমরা জিএসটি নিয়ে কাজ করছি। এর সঙ্গে আমেরিকার শুল্কের কোনও সম্পর্ক নেই। রাজ্যের আলাদাভাবে মদ, পেট্রোল বা রিয়েল এস্টেটের উপরে জিএসটি বসানোর বিষয়টিও আলোচনা হয়নি।”
প্রসঙ্গত, জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক শুরুর আগেই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া দাবি করেছেন যে ১৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হবে।