Gold Investment Schemes: আপনার ঘরে পড়ে থাকা সোনা হতে পারে ‘আশ্চর্য প্রদীপ’, কীভাবে হবে ইচ্ছে পূরণ?
Gold Investment Schemes: সোনায় বিনিয়োগ করে ভাল টাকা রিটার্ন পেতে পারেন। ভারত সরকারের তরফে এরকম বিভিন্ন স্কিম নিয়ে আসা হয়েছে।
দেশে সোনার চাহিদা পৌঁছেছে প্রাক মহামারি পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে সোনার চাহিদা বেড়ে পৌঁছেছে ১৯১.৭ টনে। উপভোক্তার আগ্রহ বাড়ার কারণেই বার্ষিক ১৪ শতাংশ বেড়েছে সোনার চাহিদা। সোনা আমদানি কমাতে এবং বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা হ্রাস করার জন্য সরকার বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশ কয়েকটি প্রোগ্রাম চালু করেছে যেখানে সোনায় বিনিয়োগ করে ভাল রিটার্ন পাওয়া যেতে পারে।
ভারতীয় অর্থনীতিতে সোনার প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে সরকারের তরফে। আর সোনা আমদানির উপর দেশের নির্ভরতাও কমানোও এর উদ্দেশ্য। সোনায় বিনিয়োগের এরকম কিছু স্কিম হল গোল্ড মানিটাইজেশন স্কিম, সভেরেইন গোল্ড বন্ড (SGB), ইন্ডিয়ান গোল্ড কয়েন, গোল্ড মেটাল লোন অ্যাকাউন্ট। যেরকম বিনিয়োগকারীরা ব্যাঙ্কে টাকা রেখে সুদ পান সেরকমই গোল্ড মানিটাইজেশন স্কিমের আওতায় ব্যাঙ্কে সোনা রেখে রিটার্ন পেতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। আন্তর্জাতিক লিজ রেট ও অন্যান্য খরচ, বাজারের পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ব্যাঙ্কগুলি রিটার্নের পরিমাণ নির্ধারণ করে।
সোনার ওজন অনুযায়ী সরকার বিনিয়োগকারীদের একটি বন্ড জারি করে। কোনও বিনিয়োগকারীকে নগদ অর্থ দিয়ে সেই বন্ড কিনতে হয়। বাজারে ওজন অনুযায়ী সোনার মূল্য যা হয় বন্ডের ক্ষেত্রেও সেই মূল্যই নির্ধারণ করা হয়। ম্যাচুরিটির পর সেই বন্ডের বিনিময়ে টাকা পান বিনিয়োগকারীরা। ভারত সরকারের হয়ে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া এই গোল্ড বন্ড জারি করে। ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে গোল্ড বন্ড স্কিম নিয়ে এসেছিল ভারত সরকার। এছাড়াও ভারতে ৫,১০ ও ২০ গ্রামের গোল্ড কয়েন পাওয়া যায়। গোল্ড কয়েনগুলি ২৪ ক্যারেটের বিশুদ্ধ সোনার হয়। এই ক্ষেত্রেও বিনিয়োগকারীরা সোনার কয়েনে বিনিয়োগ করে সম্পত্তি বাড়িয়ে নিতে পারেন।