
বাজেটের আগেই আইটিসি লিমিটেড থেকে আলাদা হয়েছে আইটিসি হোটেলসের শেয়ার। তারপরই চরম ধাক্কা, বিএসই সেনসেক্স ও নিফটি ৫০ সহ ২২টি সূচক থেকে কার্যত ‘ঘাড়ধাক্কা’ দিয়ে বের করে দেওয়া হল এই শেয়ারকে।
আইটিসি লিমিটেড নিফিটি ৫০ ও বিএসই সেনসেক্স সহ একাধিক সূচকের অংশ। ফলে সেবির নিয়ম অনুযায়ী সেই সমস্ত সূচককে ট্র্যাক করা সমস্ত মিউচুয়াল ফান্ড ও ইটিএফে আইটিসি লিমিটেডের শেয়ার ছিল। এ ছাড়াও আরও অনেক অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার গুডবুকে থাকার সুবাদে অনেক মিউচুয়াল ফান্ড ও ইটিএফেও ছিল এই সংস্থার শেয়ার।
কিন্তু, আইটিসি থেকে আইটিসি হোটেলস ডিমার্জ হওয়ার পর সেবির নিয়ম অনুযায়ী ওই সমস্ত সূচক থেকে বেরিয়ে যেতে হত হোটেল সংস্থাটিকে। মূলধনের বিচারে নিফটি ৫০ বা বিএসই সেনসেক্সে থাকার কথা নয় আইটিসি হোটেলসের। ফলে যে সব মিউচুয়াল ফান্ড বা ইটিএফ এই দুই সূচককে ট্র্যাক করে তাদের আইটিসি হোটেলসের শেয়ার বিক্রি করতেই হত। এমন যে সব সূচক থেকে আইটিসি হোটেলসের বেরিয়ে যাওয়ার কথা, সেই সব সূচকে ট্র্যাক করা মিউচুয়াল ফান্ড বা ইটিএফের সঙ্গেই ঘটেছে এমন ঘটনা।
বাজারের পরিভাষায় একে বলা হয় রিব্যালেন্সিং। আর যতদিন না এই রিব্যালেন্সিং প্রক্রিয়া শেষ হয় ততদিন পর্যন্ত আগের সূচকে থাকার কথা না থাকলেও রেখে দেওয়া হয় ওই শেয়ারকে। এমন ঘটনা আমরা এর আগে দেখেছিলাম যখন জিও ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস রিলায়েন্স থেকে ভেঙে বেরিয়ে এসেছিল। তখন জিও বেশ কয়েকদিন পর পর লোয়ার সার্কিট হিট করেছিল।
রিব্যালেন্সিংয়ের জন্য সেনসেক্সের ইনডেক্স ফান্ডগুলো আইটিসি হোটেলসের প্রায় ৪০০ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। আর নিফটির ইনডেক্স ফান্ডগুলো প্রায় ৭০০ কোটি তাকার শেয়ার বিক্রি করেছে। যদিও এর মধ্যে এই হোটেল সংস্থার শেয়ার একবারের জন্যও লোয়ের সার্কিট হিট করেনি।
শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই শেয়ারের বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও অ্যানালিসিস করুন। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।