ভারতের তৈরি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খায় জাপান থেকে সৌদি আরব, বছরে কত কোটি টাকা আয় জানলে চমকে যাবেন
French Fries: ১৯৯৬ সালে, ম্যাককেইন ভারতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বিক্রি শুরু করে এবং তার পরে ম্যাকডোনাল্ডস আসে ভারতে। এরপর ভারতেই শুরু হয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের উৎপাদন।
নয়া দিল্লি: শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক, সবারই অন্যতম পছন্দের খাবার ‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাই’। ৯০-এর দশকেও ভারতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খুব একটা সহজলভ্য ছিল না। আমেরিকা ও ইউরোপ থেকে বরফে জমিয়ে রাখা ‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাই’ দেশে আমদানি করা হত। তারপর সেই খাবার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রেস্তোরাঁর চেইনে যেত। আর এখন সেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই একেবারে সহজলভ্য। শুধু তাই নয়, ভারত থেকে সারা বিশ্বে পাঠানো হচ্ছে সেই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই।
ভারতে ল্যাম্ব ওয়েস্টন নামে এক সংস্থা ১৯৯২ সালে ‘ফ্রেঞ্চ ফ্রাই’ আমদানি শুরু করে এবং বড় হোটেলগুলিতে সরবরাহ শুরু করে। এরপর, ১৯৯৬ সালে, ম্যাককেইন ভারতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বিক্রি শুরু করে এবং তার পরে ম্যাকডোনাল্ডস আসে ভারতে। এরপর ভারতেই শুরু হয় ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের উৎপাদন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-এর প্রতিবেদন অনুসারে, ভারত থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১,৩৫,৮৭৭ টন ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রফতানি হয়েছে। যার মূল্য প্রায় ১,৪৭৮.৭৩ কোটি টাকা। শুধুমাত্র ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত, ভারতের ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রফতানি হয়েছে ১,০৬,৫০৬ টন, যার মূল্য ১,০৫৬.৯২ কোটি টাকা।
কেএফসি, বার্গার কিং এবং ম্যাকডোনাল্ডস-এর মতো বড় রেস্তোরাঁ চেইনগুলিতেও অনেক ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সরবরাহ করা হয়। অনুমান করা হয় যে ভারতে প্রতি বছর ১ লক্ষ টনেরও বেশি ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া হয়।
ফিলিপিন্স, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ওমান, জাপান এবং তাইওয়ানের মতো দেশগুলিতে ভারত ফ্রেঞ্চ ফ্রাই সরবরাহ করে। হাইফেন ফুডস, ইসকন বালাজি ফুডস, ফানওয়েভ ফুডস, চিলফিল ফুডস এই কাজ করে।
ভারত থেকে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই রফতানির প্রধান কারণ হল এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আলু উৎপাদনকারী দেশ। ভারতে প্রতি বছর ৬ কোটি টন আলু উৎপন্ন হয়। ভারতের আগে রয়েছে কেবল চিন।