Medicine Price: দাম বাড়তে পারে ওষুধের, বিশেষ নির্দেশিকা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের
Health ministry rules: ওষুধ কোম্পানিগুলির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক কিছু নিয়ম তৈরি করেছে, যেগুলি ওষুধ ফ্যাক্টরি চালানোর স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি (এসওপি)-র সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সব নিয়মের কারণে দেশে সস্তায় ওষুধ প্রস্তুতকারী অনেক ছোট কোম্পানি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
নয়া দিল্লি: ভারতকে বিশ্বের ওষুধের দোকান বলা হয়। সস্তায় ওষুধ তৈরিতে ভারতের কোনও সমকক্ষ নেই। কিন্তু, আগামী দিনে এটা বদলে যেতে পারে। দেশবাসীর চিকিৎসার খরচ বাড়তে পারে। কারণ, ওষুধের দাম বাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ওষুধের সরবরাহ কম হতে পারে এবং তার ফলেই দাম বাড়তে পারে। ওষুধের সরবরাহ কম হওয়ার পিছনে রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নয়া নিয়ম।
জানা গিয়েছে, ওষুধ কোম্পানিগুলির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রক কিছু নিয়ম তৈরি করেছে, যেগুলি ওষুধ ফ্যাক্টরি চালানোর স্ট্যান্ডার্ড পদ্ধতি (এসওপি)-র সঙ্গে সম্পর্কিত। এই সব নিয়মের কারণে দেশে সস্তায় ওষুধ প্রস্তুতকারী অনেক ছোট কোম্পানি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ম উদ্বেগ বাড়িয়েছে
সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রক ওষুধ ফ্যাক্টরির কাজের পদ্ধতি সংক্রান্ত সংশোধিত নিয়ম ‘শিডিউল-এম’ সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। সেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ওষুধ কোম্পানিগুলির অফিস কত বড় হওয়া উচিত, কারখানা কত বড় হওয়া উচিত, ওষুধ তৈরিতে কোন গাছপালা এবং কোন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা উচিত। শুধু তাই নয়, ওষুধ কোম্পানিগুলিকে প্রতিবছর গুণমান পর্যালোচনা করতে হবে বলেও নির্দেশিকায় উল্লিখিত রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এই নির্দেশিকার জেরে দেশের অনেক ছোট ও মাঝারি ওষুধ কোম্পানি ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা করছে। কেননা অনেক ছোট কোম্পানির পক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমস্ত নিয়ম মেনে চলার মতো পর্যাপ্ত সংস্থান নেই। এই সমস্ত নিয়ম মানার জন্য পরিকাঠামোর পাশাপাশি অতিরিক্ত মূলধনও জরুরি। যা ক্ষুদ্র কোম্পানিগুলির পক্ষে বিনিয়োগ করা সম্ভব নয়। ফলে নিয়ম মানতে না পারায় ওষুধের ঘাটতি হওয়া স্বাভাবিক। আর ওষুধের ঘাটতি হলে দাম বাড়াও অনিবার্য।
সরকার নিয়ম বাধ্যতামূলক করেছে
গত বছরের জুলাই মাসে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি (এমএসএমই) ওষুধ কোম্পানিগুলির জন্য ‘শিডিউল-এম’ বাধ্যতামূলক করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাস্তবায়ন করা হবে। সেই অনুসারেই এবার নির্দেশিকা জারি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সংস্থাগুলির বছরে ২৫০ কোটি টাকার বেশি টার্নওভার রয়েছে, তাদের ১ অগাস্ট, ২০২৩ -এর মধ্যে সমস্ত নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে ক্ষুদ্র কোম্পানিগুলি স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নিয়ম মেনে চলার জন্য অতিরিক্ত এক বছর সময় পাবে।