Investment and Return: বছরে ৭৭ শতাংশ রিটার্ন, ২০ হাজারকে এক চুটকিতে ৩ কোটি বানানোর রূপকথার গল্প!
Investment: কেউ যদি এক ধাক্কায় বছরে ৭৭ শতাংশ রিটার্ন নিয়ে আসে? এবং এক বা দু বছর নয়, টানা ১৪ বছর ধরে বিনিয়োগের মাধ্যমে ক্রিস এই অসাধ্যসাধন করেছিলেন।

বিনিয়োগকারীরা বাজারের বিভিন্ন সেগমেন্ট থেকে বিভিন্ন ধরণের রিটার্ন আশা করে। লার্জক্যাপ সেগমেন্ট থেকে বছরে ১২ শতাংশ রিটার্ন আসা মানে তা নিফটি ৫০ অথবা সেনসেক্সের মতো বেঞ্চমার্ককে বিট করা। আবার মিডক্যাপ স্টকের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৫ থেকে ১৬ শতাংশ রিটার্ন আশা করেন বিনিয়োগকারীরা। ঐতিহাসিকভাবেই স্মলক্যাপ বা মাইক্রোক্যাপ সেগমেন্ট থেকে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন আসে।
কিন্তু কেউ যদি এক ধাক্কায় বছরে ৭৭ শতাংশ রিটার্ন নিয়ে আসে? এবং এক বা দু বছর নয়, টানা ১৪ বছর ধরে বিনিয়োগের মাধ্যমে তিনি এই অসাধ্যসাধন করেছিলেন। ক্রিস ক্যামিলোর ফাইন্যান্সে কোনও ডিগ্রি ছিল না। কাজ করতেন মার্কেটিংয়ে, সেই তিনিই কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন ওয়াল স্ট্রিটকে। তথ্য বলছে তাঁর সম্পত্তির বৃদ্ধি হয়েছিল ওয়াল স্ট্রিটের তুলনায় প্রায় ৭০ শতাংশ বেশি।
কীভাবে স্টক কিনতেন ক্যামিলো? সাধারণত মানুষ যেভাবে হিসাব করে, পড়াশোনা করে স্টক কেনে, সেইভাবে স্টক কিনতেন না এই ব্যক্তি। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় অত্যন্ত অ্যাকটিভ ছিলেন সেই সময়। বন্ধুদের সঙ্গেও যথেষ্ট বাইরে বেরতেন, কেনাকাটা করতে যেতেন। এই সময় তিনি বাজারে কী ট্রেন্ড চলছে তা খুব ভাল করে লক্ষ্য করতেন। তিনি সময় মতো সেই সব সংস্থার স্টক কিনতেন যারা এই ট্রেন্ডের সঙ্গে জড়িয়ে। কোনও সংস্থার পিই রেসিও বা সংস্থার আয় কত, তা নিয়ে মাথা ঘামাতেন না ক্যামিলো। এই পদ্ধতিকে তিনি ‘সোশ্যাল আর্বিট্রেজ’ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি লক্ষ্য করেন, ক্রকস সেই সময় সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তিনি দেখেছিলেন সে সময় স্কেচার্সের চাহিদা বাড়ছে হু হু করে। আর এইভাবেই তিনি নিজের লক্ষ্য করা ব্র্যান্ডগুলোয় বিনিয়োগ করেন। আর সেই ব্র্যান্ডগুলো পরবর্তীতে দু হাত ভরিয়ে ফিরিয়ে দেয় তাঁকে।
২০০৭ থেকে ২০০৪-এর মধ্যে তাঁর সম্পত্তি ২০ হাজার ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ মিলিয়ন বা ৩ কোটি ডলার। তিনি চাইছেন, যেন এই বছর অর্থাৎ ২০২৫-এ তাঁর সম্পত্তি ৬ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। কোন ধাক্কা ছাড়া ক্যামিলো এত উপার্জন করে ফেলেছেন, এমনটা নয়। ২০০৮-এর অর্থনৈতিক সংকটের সময় তাঁর সম্পদের ৭০ শতাংশই একেবারে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যায়।
ক্যামিলো তাঁর যাত্রা সম্পর্কে বলছেন, তাঁর পথ যেন কেউ না নেয়। “আমি অনেক ক্ষতি হজম করেছি। আমার সেই ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা ছিল, তাই আমি এই পথে সফল হয়েছি”, বলছেন ক্যামিলো।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।





