AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ফিউচার-রিলায়্যান্স: ২৪ হাজার কোটির চুক্তির সময়সীমা বাড়ল আরও ৬ মাস

ফিউচার (Future) গ্রুপের রিটেইল ব্যবসা কিনতে চেয়ে ২৪ হাজার ৭১৩ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল রিলায়্যান্স (Reliance)। সেই চুক্তি নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে।

ফিউচার-রিলায়্যান্স: ২৪ হাজার কোটির চুক্তির সময়সীমা বাড়ল আরও ৬ মাস
আদালতে সেই চুক্তির লড়াই
| Updated on: Apr 02, 2021 | 4:19 PM
Share

মুম্বই: কিশোর বিয়ানির ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে ২৪ হাজার কোটির চুক্তির সময়সীমা আরও ৬ মাস বাড়াল রিলায়্যান্স। এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানাল ফিউচার। ৩১ মার্চ থেকে সময়সীমা বাড়িয়ে করা হল ৩০ সেপ্টেম্বর। এই চুক্তিতে বাধ সেধেছে অ্যামাজ়ন।

এই সময়সীমাকে ব্যবসার ভাষায় বলা হয় ‘Long Stop Date’. অর্থাৎ যে সময়সীমার মধ্যে দুই সংস্থা যুক্ত হওয়ার আগে সব শর্ত মেনে লেনদেন সম্পূর্ণ হয়।

ভারতের খুচরো বাজার কার দখলে থাকবে, তা নিয়েই এই লড়াই। অ্যামাজ়ন ও মুকেশ অম্বানীর রিলায়্যান্সের মধ্যে। ফিউচার গ্রুপের রিটেল ব্যবসা কিনতে চেয়ে ২৪ হাজার ৭১৩ কোটি টাকার চুক্তি করেছিল রিলায়্যান্স। সেই চুক্তি একের পর এক আদালতে ঘুরেছে। পর আদালত, স্থগিতাদেশের পর স্থগিতাদেশ, বারবার আটকেছে ফিউচার-রিলায়্যান্স চুক্তি। কয়েক দিন আগেই ফিউচার গ্রুপকে রিলায়্যান্সের সঙ্গে চুক্তিতে এগোতে বাধা দিয়েছিল আদালত। পরে সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্টের ডিভিসন বেঞ্চ।

এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ৩০ এপ্রিল। ১৮ মার্চ হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ অ্যামাজ়নের আবেদনের ভিত্তিতে ফিউচার ও রিলায়্যান্সের চুক্তিতে বাধা দিয়েছিল। সেই নির্দেশের পর দিল্লি হাইকোর্টে ফের আবেদন করেছিল ফিউচার গ্রুপ। তারই ভিত্তিতে স্থগিতাদেশ দেয় বিচারপতি ডিএন পাটেল ও বিচারপতি জসমিত সিংয়ের বেঞ্চ।

আরও পড়ুন: হেডকোয়ার্টার হাতছাড়া হতেই শেয়ার দর বাড়ল অনিল অম্বানীর সংস্থার

ফিউচারের রিটেল ব্যবসা যদি অ্যানাজনের হাতে যায়, তাহলে ভারতের খুচরো ব্যবসা তো বটেই বিশ্বের খুচরো ব্যবসায় বড় জায়গা করে নেবে মুকেশ অম্বানীর সংস্থা। কিন্তু এই চুক্তির বিরুদ্ধে অ্যামাজ়নের অভিযোগ, এই চুক্তি আগেই হয়ে আছে ফিউচার ও জেফ বেজ়োসের। সেই চুক্তি অনুযায়ী, তারা খুচরো ব্যবসা রিলায়েন্সকে বিক্রি করতে পারবে না। প্রথমে সিঙ্গাপুরের এক আরবিট্রেটর মুকেশ আম্বানীর সংস্থাকে ওই চুক্তি করতে বাধা দিয়েছিল। কিন্তু সেই দাবি নাকচ করে রায় দেয় দিল্লি নিম্ন আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় অ্যামাজ়ন।