Reserve Bank Of India, Bank Note: এই বাংলাতেই ছাপানো হয় টাকা, জানেন কি?
RBI, Indian Currency: আমাদের দেশের ৪টি টাকা ছাপানোর ছাপাখানা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি ছাপাখানার মালিক ভারত সরকার। আর বাকি ২টির মালিক ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।

অনলাইন ব্যবস্থা বা প্লাস্টিক মানি এলেও টাকা বা ব্যাঙ্ক নোট যে কোনও দেশের লেনদের প্রধান মাধ্যম। আর টাকা তৈরি হয় ছাপাখানায়। কিন্তু জানেন কি আমাদের দেশের কোথায় কোথায় ছাপা হয় টাকা?
প্রথমেই জানতে হবে টাকা ছাপা হয় ছাপাখানায় আর মিন্ট বা ট্যাঁকশালে তৈরি হয় ধাতব কয়েন। আমাদের দেশের ৪টি টাকা ছাপানোর ছাপাখানা রয়েছে। এর মধ্যে ২টি ছাপাখানার মালিক ভারত সরকার। আর বাকি ২টির মালিক ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।
১. কারেন্সি নোট প্রেস, নাসিক
মহারাষ্টের নাসিকে দেশের অন্যতম পুরাতন কারেন্সি প্রিন্টিং প্রেসটি রয়েছে। ১৯২৮ সালে স্থাপিত এই প্রেস অর্থমন্ত্রকের অধীনে কাজ করে। টাকা ছাড়াও এখানে স্ট্যাম্প, পাসপোর্ট ও ভিসা ছাপা হয়।
২. ব্যাঙ্ক নোট প্রেস, দেওয়াস
কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত দ্বিতীয় কারেন্সি প্রিন্টিং প্রেস মধ্য প্রদেশের দেওয়াসে অবস্থিত। ১৯৭৪ সালে স্থাপিত এই প্রেসে নোট ছাপার কালিও তৈরি করা হয়। এ ছাড়া এখানে স্ট্যাম্প পেপার, এগ্রিমেন্ট ও শেয়ার সার্টিফিকেটও ছাপা হয়।
৩. ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রণ, মাইসুরু
ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনস্ত ব্যাঙ্ক নোটের ছাপাখানা কর্নাটকের মাইসুরুতে অবস্থিত। ১৯৯৬ সালে স্থাপিত এই ছাপাখানা ছাপার জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করে তা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক।
৪. ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক নোট মুদ্রণ, শালবনি
দেশের সবচেয়ে নতুন ব্যাঙ্ক নোটের ছাপাখানাটি অবস্থিত আমাদের রাজ্যে। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই ছাপাখানা ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অধীনে থেকে কাজ করে।
এই ৪টি ছাপাখানা থেকে সব মিলিয়ে বছরে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার কোটি নোট ছাপা হতে পারে। তবে, এই ছাপাখানাগুলো কখনই একসঙ্গে এত নোট ছাপে না। এই ৪টি প্রিন্টিং প্রেস ছাড়াও স্ট্যাম্প পেপার, পাসপোর্ট, বিভিন্ন ডকুমেন্টস ছাপার জন্য আরও প্রেস রয়েছে। এ ছাড়াও ভারত সরকারের অধীনে ৪টে মিন্টও রয়েছে আমাদের দেশে। এর মধ্যে একটি মিন্ট কলকাতায় অবস্থিত।
