
করোনা পরবর্তী সময়ে শেয়ার বাজারে সবচেয়ে বড় ধস দেখছে ভারতের বাজার। ২০২৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর সর্বকালীন উচ্চতায় পৌঁছেছিল দালাল স্ট্রিট। আর তারপর থেকে ক্রমাগতই নেমেছে ভারতের দুই বেঞ্চমার্ক সূচক নিফটি ৫০ ও সেনসেক্স। ইক্যুইটি বাজারে বিনিয়োগ করেন যাঁরা, এর মধ্যে তাঁদের প্রায় ৪৫ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহেই লোকসান হয়েছে ২৪ লক্ষ কোটি টাকা। বিশ্ববিখ্যাত সংবাদ সংস্থা ব্লুমবার্গের তথ্য অনুযায়ী গত ১৪ মাসে এই প্রথম ভারতের শেয়ার বাজারের মূলধন বা মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন নেমে গেল ৩৪৬ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা বা ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের নীচে।
ফেব্রুয়ারির প্রায় প্রথম থেকেই পড়তে শুরু করেছে ভারতের দুই বেঞ্চমার্ক সূচক নিফটি ৫০ ও সেনসেক্স। ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিফটি ফিফটি পড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। আর এক বেঞ্চমার্ক সূচক এই একই সময়ে পড়েছে প্রায় ১২.২৬ শতাংশ।
করোনা পরবর্তী সময়ে ভারতের মিড ক্যাপ ও স্মল ক্যাপ সংস্থাগুলো দারুণ র্যালি দেখিয়েছিল। কিন্তু সেপ্টেম্বর ২৭-এর রেকর্ড হাই থেকে হুড়মুড়িয়ে পড়া শুরু করেছে এই দুই সূচক। নিফটি মিডক্যাপ ১০০ সূচক পড়েছে প্রায় ১৯ শতাংশ। অন্যদিকে নিফটি স্মলক্যাপ ১০০ সূচক পড়েছে ২২ শতাংশের বেশি। ইকোনমিক টাইমসের একটি রিপোর্ট বলছে অনেক বড় বড় সংস্থা তাদের সর্বকালীন দর থেকে প্রায় ৭১ শতাংশ পড়েছে। স্মলক্যাপ সেক্টরের একাধিক সংস্থার শেয়ারের দামে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত পতন দেখা গিয়েছে।
আগামীতে বাজার আরও পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরাই। আইসিআইসিআই প্রুডেনশিয়াল মিউচুয়াল ফান্ডের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার এস নরেন স্মল ও মিডক্যাপ ফান্ডে এসআইপি বিনিয়োগের বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। তিনি বলছেন, “আমাদের মনে হয় স্মল ও মিডক্যাপ সেগমেন্টের বিনিয়োগ থেকে সমস্তকিছু বের করে নেওয়ার এটাই সেরা সময়”।
যদিও সব বিশেষজ্ঞ তাঁর এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। এটিকা ওয়েলথ অ্যাডভাইসরের ডিরেক্টর নিখিল কোঠারি বলেন, “এটাই এসআইপি চালিয়ে যাওয়ার সেরা সময়। বাজার আরও পড়লে বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ”।
কোনও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও অ্যানালিসিস করুন। এই লেখা শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।