
অনিল অম্বানির ফ্ল্যাগশিপ সংস্থা রিলায়েন্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার আগামী ২ অর্থবর্ষের মধ্যে শুধুমাত্র ১৫৫ মিলিমিটারের অ্যামোনেশন বিক্রি করে ৩ হাজার কোটি টাকা আয়ের পরিকল্পনা করছে। যদিও শুধুমাত্র বর্তমান বছরেই অম্বানির এই সংস্থা বড় ক্যালিবারের অ্যামোনেশন রফতানি করে ১,৫০০ কোটি টাকা কামিয়েছে।
রিলায়েন্স ইনফ্রা ইতিমধ্যেই ১০০ কোটি টাকার বেশি আর্টিলারির জন্য প্রয়োজনীয় অ্যামোনেশন রফতানি করেছে। এবং আগামীতে সংস্থাটি প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম, রফতানিতে দেশের প্রথম ৩ সংস্থার মধ্যে আসতে চাইছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে তারা অ্যামোনেশন বা গোলাবারুদ রফতানি করে। এবং তারা আগামীতে তাদের এই রফতানির পরিসর আরও বাড়ানোর দিকে আগ্রহী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিলায়েন্স ইনফ্রা যে বাজারকে টার্গেট করছে, তার আকার প্রায় ৪ লক্ষ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, রিলায়েন্স ইনফ্রার মুখপাত্র জানিয়েছে, গোলাবারুদের রফতানি সংস্থার কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছে চিরকাল। আরও জানা গিয়েছে, এই রফতানির কথা মাথায় রেখেই সংস্থাটি মহারাষ্ট্রের রত্নগিরিতে ৫ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ধীরুভাই অম্বানি ডিফেন্স সিটি তৈরি করছে। রত্নগিরির ওয়াটাড ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়াতে সংস্থাটি প্রায় ১ হাজার একর জমি পেয়েছে এই ডিফেন্স সিটি তৈরি করার জন্য। এখনও পর্যন্ত প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ক্ষেত্রে এটাই কোনও বেসরকারি সংস্থার দ্বারা সবচেয়ে বড় গ্রিনফিল্ড প্রোজেক্ট।
সংস্থার শেয়ারের দাম ক্রমশই বাড়ছে। ২৬ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে সংস্থার শেয়ারের দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ। ৫ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে শতাংশের বিচারে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। গত ১ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে সংস্থার শেয়ারের দাম। আর ৫ বছরের হিসাব দেখলে চোখ কপালে উঠে যেতে পারে বিনিয়োগকারীদের। ৫ বছরে শেয়ারের দাম বেড়েছে প্রায় ১৮ গুণ বা ১৮০০ শতাংশ।
চমকে দিতে পারে সংস্থার ফান্ডামেন্টালসও। রিলায়েন্স ইনফ্রার শেয়ার প্রতি আয় ১২৪.৬৪ টাকা। আর এর ফলে সংস্থার প্রাইস টু আর্ন রেসিও হয়ে যায় ২.৬৫। যা এই ইন্ডাস্ট্রির গড় পিই রেসিও ২৬.৬৯-এর তুলনায় অনেক কম।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।