Tata Group: নজিরবিহীন! রতন টাটাও সরে গিয়েছিলেন, কিন্তু সরানো হল না এন চন্দ্রশেখরণকে, কেন?

N Chandrasekharan: অবসরের বয়সে পৌঁছে যাওয়ায় এন চন্দ্রশেখরণের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে আসার কথা ছিল। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এন চন্দ্রশেখরণ ৬৫ বছরে পা দেবেন। তবে টাটা ট্রাস্টের তরফে এই সিদ্ধান্তের ব্যতিক্রম করা হল।

Tata Group: নজিরবিহীন! রতন টাটাও সরে গিয়েছিলেন, কিন্তু সরানো হল না এন চন্দ্রশেখরণকে, কেন?
রতন টাটা ও এন চন্দ্রশেখরণ।Image Credit source: PTI

|

Oct 13, 2025 | 12:07 PM

নয়া দিল্লি: টাটা গ্রুপে বড় খবর। টাটা গ্রুপে থেকে গেলেন এন চন্দ্রশেখরণ (N Chandrasekharan)। টাটা ট্রাস্টের তরফে এই নিয়ে তৃতীয়বার টাটা সন্স (Tata Sons)-র চেয়ারম্যান হিসাবে এন চন্দ্রশেখরণকেই রাখা হল। এই প্রথম অবসরের নীতিতে পরিবর্তন করা হল।

দ্য ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অবসরের বয়সে পৌঁছে যাওয়ায় এন চন্দ্রশেখরণের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে আসার কথা ছিল। ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এন চন্দ্রশেখরণ ৬৫ বছরে পা দেবেন। তবে টাটা ট্রাস্টের তরফে এই সিদ্ধান্তের ব্যতিক্রম করা হল। সংস্থা বর্তমানে একাধিক বড় বড় প্রজেক্ট, যেমন সেমিকন্ডাক্টর, ইলেকট্রিক ভেহিকল ব্যাটারি ও এয়ার ইন্ডিয়ার পুনরুদ্ধারের মতো কাজ রয়েছে। সেই কারণে এন চন্দ্রশেখরণের মেয়াদ বাড়ানো হল। ফের তাঁকে চেয়ারম্যান পদে বহাল রাখা হল।

জানা গিয়েছে, নোয়েল টাটা ও বেণু শ্রীনিবাসন প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে এন চন্দ্রশেখরণকে বহাল রাখা হোক। গত ১১ সেপ্টেম্বর টাটা ট্রাস্টের মিটিংয়ে সেই প্রস্তাব সর্বসম্মতিতে পাশ হয়। এরপরে তা টাটা সন্সে পাঠানো হয়। ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। তখন চেয়ারম্যান হিসাবে তৃতীয়বার এন চন্দ্রশেখরণের মেয়াদ বাড়ানো হবে।

টাটা সন্সের ৬৬ শতাংশ অংশাদারিত্ব রয়েছে টাটা ট্রাস্টের। এখনও পর্যন্ত টাটা ট্রাস্টের তরফে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, টাটা গোষ্ঠীর এগজেকিউটিভরা যদি নন-এগজেকিউটিভ পদে সরে আসেন, তাহলে ৭০ বছর বয়স পর্যন্ত কাজ করতে পারেন। নোয়েল টাটাও ৬৫ বছর বয়সে এগজেকিউটিভ পদ থেকে সরে এসেছিলেন। এরপর নন-এগজেকিউটিভ পদেই বহাল ছিলেন তিনি। এই প্রথম এন চন্দ্রশেখরণের জন্য সেই সিদ্ধান্তে পরিবর্তন করা হল।

এন চন্দ্রশেখরণের তত্ত্বাবধানে টাটা গ্রুপের রাজস্ব দ্বিগুণ ও লাভ তিনগুণ হয়েছে। ২০২৫ অর্থবর্ষে টাটা গ্রুপের রাজস্ব ১৫.৩৪ লক্ষ কোটি টাকা এবং ১.১৩ লক্ষ কোটি টাকা লাভ করেছে। তবে টিসিএসের শেয়ার ৩০ শতাংশ পতন হয়েছে।