Tata Tesla: টাটার ‘ম্যাজিকে’ জুড়ে গেল ভারত-আমেরিকা! দেশের সংস্থার হাতেই এখন টেসলার ‘গুরু-দায়িত্ব’
Tata Tesla: এই প্রসঙ্গে দুই দেশের সংস্থার মধ্যে সাক্ষর হয়েছে চুক্তিও। বিশ্বজুড়ে টেসলা গাড়ির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অংশীদারি হয়ে উঠেছে 'ঘরের সংস্থা' টাটা।

নয়াদিল্লি: ভারতে মার্কিন টেসলা গাড়ি আসার খবর ছড়াতেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল টাটা-টেসলার চুক্তি নিয়ে। দেশের বুকে টাটার মদতেই যে ঘরে ঘরে এই বৈদ্যুতিক স্বয়ংক্রিয় গাড়ি পৌঁছে যেতে চলেছে বলে কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। এবার জল্পনাই যেন ধাপে ধাপে বাস্তবের দুনিয়া পা দিচ্ছে। জানা গিয়েছে, তলে তলেই ইলন মাস্কের সংস্থা টেসলার সঙ্গে হাত মিলিয়ে নিয়েছে তাঁরা।
ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, টেসলার বিশ্বব্যাপী সরবরাহের কাজটা নিজের হাতে তুলে নিয়েছে টাটা গোষ্ঠী। গত কয়েক মাসে এই গোষ্ঠীর আওতাধীন সংস্থা যেমন, টাটা অটোকম্প (Tata AutoComp), টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস (Tata Consultancy Service), টাটা টেকনোলজিস (Tata Technologies) ও টাটা ইলেকট্রনিক্স (Tata Electronics) হয়ে উঠেছে টেসলার সরঞ্জাম ও পরিষেবা প্রদানের অংশীদার।
এই প্রসঙ্গে দুই দেশের সংস্থার মধ্যে সাক্ষর হয়েছে চুক্তিও। বিশ্বজুড়ে টেসলা গাড়ির বিভিন্ন সরঞ্জাম ও পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে অংশীদারি হয়ে উঠেছে ‘ঘরের সংস্থা’ টাটা। দুই দেশের অন্যতম গোষ্ঠীর এমন বাণিজ্যিক চুক্তি দিনশেষে ভারত-আমেরিকার জন্যও অনেকটাই লাভের হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। এমনকি, টেসলা যদি ভারতের বুকে নিজেদের ম্যানুফ্যাকচার ইউনিট স্থাপন করে তখন এই ব্যবসায়ীক সম্পর্কে ঘনত্ব আরও গাঢ় হবে বলেও দাবি তাদের।
কোন খাতে টাটায় ভরসা টেসলার?
জানা গিয়েছে, মূলত ইঞ্জিনিয়ারং পণ্যের জন্য টাটা অটোকম্পের উপর ভরসা রেখেছে টেসলা। পাশাপাশি, টাটা টেকনোলজিসের ঘাড়ে পড়েছে, টেসলা গাড়ির লাইফসাইকেল ম্যানেজমেন্টের দায়িত্ব। অর্থাৎ কীভাবে গাড়িটি তৈরি হবে, সেই দায়িত্ব তাদের। গাড়ির সার্কিট-বোর্ড তৈরির কাজ টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসের। গাড়ির জন্য পর্যাপ্ত সেমিকন্ডাক্টর পাঠাবে টাটা ইলেকট্রনিক্স।





