
নয়া দিল্লি: তৎকাল টিকিটের নিয়মে বিরাট পরিবর্তন। ১ জুলাই থেকে তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আধার ই-অথেন্টিকেশন বাধ্যতামূলক করা হল। অর্থাৎ টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে আগে যাচাই করা হবে আধার কার্ড। তবে শুধু আধার কার্ড যাচাই নয়, আরও একটা বড় পরিবর্তন এনেছে রেলওয়ে। তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে দালাল-রাজ।
শেষ মুহূর্তে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভরসা তৎকাল টিকিট। ভ্রমণ বা যাত্রার আগেরদিন তৎকাল টিকিট পাওয়া যায়। কনফার্ম টিকিটের ১০০ শতাংশ গ্যারান্টি থাকে না তৎকালে, তবুও বসার জায়গার আশাতেই তৎকাল টিকিট কাটেন অনেকে। এর জন্য তৎকাল টিকিটের দামও বেশি হয়।
এই তৎকাল বুকিংয়ের ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছিল যে সাধারণ যাত্রীরা কিছুতেই তৎকাল টিকিট পাচ্ছেন না। তৎকাল টিকিট বুকিংয়ের করতে গেলেই সার্ভার ডাউন হয়ে যাচ্ছে। ৫-১০ মিনিট বাদে যখন ওয়েবসাইট সচল হচ্ছে, ততক্ষণে সব টিকিট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
তৎকাল টিকিটের এই জালিয়াতি রুখতেই এবার রেলের বড় পদক্ষেপ। তৎকাল টিকিট বুকিংয়ে এবার আধার ভেরিফিকেশন করতে হবে। এর পাশাপাশি আরেকটি নিয়ম আনা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে যে তৎকাল বুকিংয়ের প্রথম আধ ঘণ্টা এজেন্টরা টিকিট বুক করতে পারবেন না।
যাত্রার আগের দিন, সকাল ১০টা থেকে এসি কামরার জন্য বুকিং শুরু হয়। স্লিপার ক্লাসের বুকিং শুরু হয় সকাল ১১টা থেকে। রেলের এই নিয়মে এবার থেকে এজেন্টরা সকাল সাড়ে ১০টার আগে এসি এবং সকাল সাড়ে ১১টার আগে স্লিপার ক্লাসের টিকিট বুক করতে পারবেন না।
এতে উপকৃত হবেন সাধারণ যাত্রীরা। এতদিন এজেন্টদের দৌরাত্ব্যে সাধারণ যাত্রীরা তৎকাল টিকিট পেতেন না। সেখানে এবার থেকে যাত্রীরা হাতে আধ ঘণ্টার সময় পাবেন, যখন এজেন্টরা বুকিং করার চেষ্টা করবে না।
রেলের এই সিদ্ধান্তে কার্যত এজেন্টদের ব্যবসায় তালা পড়ছে। তাদের মাথায় হাত পড়েছে। এতদিন এজেন্টদের বিরুদ্ধে বাল্ক বুকিংয়ের অভিযোগ থাকত। তারা আগেভাগেই অধিকাংশ টিকিট বুক করে রাখত। এবার আর সেই সুবিধা পাবে না এজেন্টরা। রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, দালাল বা এজেন্টদের দৌরাত্ব্য কমাতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রেলের এই নিয়মে এজেন্টদের ক্ষতি হলেও, তাদের ব্যবসা একেবারে লাটে উঠে যাচ্ছে না কারণ এখনও বহু মানুষ রয়েছেন, যারা অনলাইনে টিকিট বুক করতে পারেন না। অনেকের পক্ষে ট্রেনের বুকিং কাউন্টারেও গিয়ে লাইন দেওয়া সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে এজেন্টরাই ভরসা।