
গত ১৬ জানুয়ারি আরবিআইয়ের নন-ব্যাঙ্কিং ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানির (NBFC) তালিকার আপার লেয়ার বিভাগে ১৫ সংস্থার নাম প্রকাশিত হয়েছে। এই তালিকায় ছিল টাটা ক্যাপিটাল। টাটা ক্যাপিটাল ছাড়াও টাটা গ্রুপের প্যারেন্ট কোম্পানি টাটা সন্সও রয়েছে এই সংস্থায়। রিপোর্ট অনুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্কের এই তালিকায় নাম থাকা সব সংস্থারই ম্যান্ডেটারি লিস্টিং করতে হবে। তবে টাটা চেষ্টা করছে টাটা সন্সকে এই তালিকা থেকে বের করে নিয়ে আসতে। আর সেই বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা তারা করছে।
টাটা সন্সের আইপিও না নিয়ে আসতে চাইলেও টাটা ক্যাপিটালের আইপিও নিয়ে আসতে চলেছে টাটা গ্রুপ। সম্প্রতি সেবির কাছে কনফিডেনশিয়াল আইপিও ফাইলিং করেছে তারা। এই পদ্ধতির অন্তর্গত আইপিওর ক্ষেত্রে সংস্থা কোনও প্রকার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে না। যদিও রিপোর্ট বলছে টাটা ক্যাপিটাল প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার বা ১৭ হাজার কোটির আইপিও নিয়ে আসছে।
ফেব্রুয়ারি মাসেই টাটা ক্যাপিটালের বোর্ড তাদের এই আইপিও নিয়ে আসা ও রাইটস ইস্যু করার বিষয়টায় সিলমোহর দিয়েছিল। এই আইপিও এলে গত ২০ বছরে এটা টাটাদের তৃতীয় আইপিও হবে। এর আগে ২০২৩ সালে টাটা টেকনোলজিসের আইপিও নিয়ে এসেছিল তারা। আর তার আগে ২০০৪ সালে আইপিও এসেছিল টিসিএস বা টাটা কনসাল্টেন্সি সার্ভিসেসের।
এর আগে করা রেগুলেটরি ফাইলিং অনুযায়ী, টাটা ক্যাপিটালের আইপিও ২৩ কোটি ফ্রেশ শেয়ার ইস্যু করবে। জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র রাইটস ইস্যু করে টাটা ক্যাপিটাল ১ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা বাজার থেকে তোলার পরিকল্পনা করছে।
কোথাও বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও বিশ্লেষণ করুন। এই ভিডিয়ো শুধুমাত্র শিক্ষাগত উদ্দেশ্যে। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।