Travel Loan: ‘গৌরী সেনের’ থেকে টাকা নিয়ে ঘুরে আসুন, কীভাবে জেনে নিন
নয়া দিল্লি: ২৫-এ চাকরি, ৩০-এ বিয়ে, তারপর সন্তান…। এই ফর্মুলা এখন অতীত। এখন শুধু চাকরি আর অর্থ সঞ্চয়ের পিছনেই সবাই ছোটেন না। বরং কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাকে বিশেষ প্রাধান্য দেন। ভবিষ্যতের জন্য শুধু টাকা না জমিয়ে, সেই টাকা খরচ করে ঘুরতে যাচ্ছেন যুব প্রজন্ম। তাদের বাঁচার নতুন মন্ত্র, “জীবন একটাই। প্রাণ […]
নয়া দিল্লি: ২৫-এ চাকরি, ৩০-এ বিয়ে, তারপর সন্তান…। এই ফর্মুলা এখন অতীত। এখন শুধু চাকরি আর অর্থ সঞ্চয়ের পিছনেই সবাই ছোটেন না। বরং কর্ম ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাকে বিশেষ প্রাধান্য দেন। ভবিষ্যতের জন্য শুধু টাকা না জমিয়ে, সেই টাকা খরচ করে ঘুরতে যাচ্ছেন যুব প্রজন্ম। তাদের বাঁচার নতুন মন্ত্র, “জীবন একটাই। প্রাণ খুলে বাঁচো”। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, বছরে দুই-তিনবার ঘুরতে যাওয়ার টাকা কে দেবে? অফিসে ছুটি পেলেও, ঘোরার জন্য তো পকেটেও জোর থাকা দরকার। এক্ষেত্রেও রয়েছে মুস্কিল আসানের সহজ উপায়। বাড়ি, গাড়ির মতো ঘুরতে যাওয়ার জন্যও আপনি ঋণ পেতে পারেন।
বিগত কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয়তা অর্জন করছে ভ্রমণ বিমা বা ট্রাভেল লোন। বিদেশিদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই ঋণ নিচ্ছেন ভারতীয়রাও। থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা বা ভিয়েতনাম থেকে শুরু করে জাপান, আন্টার্কটিকা, গ্রিনল্যান্ড বা আইসল্যান্ড ঘুরতে যাওয়ার জন্যও ঋণ নিতে পারেন তিনি।
কারা নিচ্ছেন এই ঋণ?
দেখা যাচ্ছে, মূলত ২৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সীরাই ট্রাভেল লোন নিচ্ছেন। লাখ দুয়েক টাকার ঋণ নিয়ে আপনি ও আপনার প্রিয়জন সিঙ্গাপুর ঘুরে আসতে পারেন। ৬ লক্ষ টাকার ঋণে সন্তান সহ সপরিবারে আমেরিকা ঘুরে আসতে পারেন। ব্যাঙ্কও মূলত বেতনভুক্ত কর্মীদেরই ঋণ দিতে পছন্দ করছে।
বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৪ সালে যুব প্রজন্ম টাকা সঞ্চয়ের বদলে ঘুরতে যাওয়াকেই বেশি প্রধান্য দেবেন। ২৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হতে পারে। বিশেষ করে করোনাকালের পর থেকে “ট্রাভেল নাও, পে লেটার” প্রোগ্রামের জনপ্রিয়তা প্রায় দুই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। রিভেঞ্জ ট্রাভেলে বাজেট মাথায় রেখে গন্তব্য বাছা হলেও, “ট্রাভেল নাও, পে লেটার”-এ টাকার কথা না ভেবে পছন্দসই গন্তব্যই বেছে নিচ্ছেন ঋণগ্রহীতারা।
কোন ব্যাঙ্ক ঋণ দিচ্ছে?
বর্তমানে একাধিক ব্যাঙ্কই ট্রাভেল লোন দেয়। জনপ্রিয়তা পেয়েছে অ্যাক্সিস, ইন্ডাসিন্ড ও কোটাক মাহিন্দ্রার ট্রাভেল লোন। করোনা-পরবর্তী সময়ে ৪০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধি হয়েছে ভ্রমণ ও হোটেলের খরচ-খরচায়।