AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Bank Rules: হঠাৎ ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে আপনার জমা রাখা টাকার কী হবে? RBI-র নিয়ম জেনে রাখুন

RBI Rules: হঠাৎ যদি কোনও ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যায়, তবে গ্রাহকদের জমা রাখা টাকার কী হবে? এর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন গঠন করেছে, যা এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক এবং তার গ্রাহকদের সাহায্য করে।

Bank Rules: হঠাৎ ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে আপনার জমা রাখা টাকার কী হবে? RBI-র নিয়ম জেনে রাখুন
প্রতীকী চিত্র।Image Credit: Meta AI
| Updated on: Feb 15, 2025 | 11:03 AM
Share

নয়া দিল্লি: রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কড়া নির্দেশ, নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উপরে। আপাতত ৬ মাস এই ব্য়াঙ্কের সমস্ত আর্থিক লেনদেন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জেরে বিপাকে পড়েছেন ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা। তারা টাকা তুলতেও পারছেন না, জমাও রাখতে পারছেন না। লক্ষ লক্ষ টাকা আটকে থাকায় চিন্তায় পড়েছেন তারা। ব্যাঙ্কের সামনেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকের মনেই প্রশ্ন, যদি হঠাৎ ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যায়, তবে গ্রাহকদের জমা রাখা টাকার কী হবে?

নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উপরে আরবিআই নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই সমস্ত লেনদেন বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গ্রাহকরা টাকা তুলতে ভিড় জমাচ্ছেন, কিন্তু টাকা তুলতে পারছেন না। গ্রাহকদের যাতে হেনস্থার শিকার না হতে হয়, তার জন্য ব্যাঙ্কের তরফে 9769008501 – নম্বরটি দেওয়া হয়েছে, যেখানে গ্রাহকরা ফোন করে যাবতীয় তথ্য জানতে পারবেন। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যাকাউন্টে লেনদেন বন্ধ থাকলেও, লকার সিস্টেম চালু রয়েছে। ফলে গ্রাহকরা লকার থেকে টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিস তুলতে পারবেন।

এবার প্রশ্ন হল, হঠাৎ যদি কোনও ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যায়, তবে গ্রাহকদের জমা রাখা টাকার কী হবে? এর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ডিপোজিট ইন্স্যুরেন্স এবং ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন গঠন করেছে, যা এই ধরনের পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক এবং তার গ্রাহকদের সাহায্য করে। ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে গ্রাহকরা কত টাকা পাবেন, তা-ও ডিআইসিজিসি নির্ধারণ করে।

১৯৭৮ সালে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এই কর্পোরেশন তৈরি করে। যখনই কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া হয়ে যায় বা বন্ধ হয়ে যায়, তখনই মানুষ এর আওতায় টাকা পায়। আসলে ওই টাকাটা কেবল বিমার জন্য। যদি কোনও ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে যায় বা দেউলিয়া হয়ে যায়, তবে তার গ্রাহকরা সরাসরি তাদের টাকা পান না। ডিআইসিজিসি-র  বিমা কভারেজ থাকে, তাতে প্রতি আমানতকারীর জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ধার্য করা থাকে। ব্যাঙ্কে জমা থাকা অর্থের উপরে এই বিমার কভারেজ নির্ভর করে। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তির যদি ৫ লক্ষ টাকার কম অর্থ জমা থাকে ব্যাঙ্কে, তবে তিনি সেই অঙ্কই ফেরত পাবেন। কিন্তু ৫ লক্ষ টাকার বেশি জমা থাকলে, সেক্ষেত্রে সমপরিমাণ অর্থ পাওয়া যাবে না। তখন ওই ৫ লক্ষ টাকাই পাওয়া যাবে। অর্থাৎ কারোর ১০ লক্ষ টাকা জমা থাকলে এবং ব্যাঙ্ক বন্ধ হয়ে গেলে, ওই ব্যক্তি ৫ লক্ষ টাকাই ফেরত পাবেন।