
সেপ্টেম্বর মাসের শেষ থেকে বিনিয়োগকারীদের চাপা আর্তনাদ শুনেছে দালাল স্ট্রিট। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যা পরিণত হয়েছে হাহাকারে। সেপ্টেম্বরের ২৬ তারিখ নিফটি ৫০ বন্ধ হয়েছিল ২৬ হাজার ২১৬ পয়েন্টে। সেই সময় থেকে জানুয়ারির শেষ, এই ৪ মাসে সূচক পড়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে এই একই সময়ের ব্যবধানে সেনসেক্স পড়েছে প্রায় ১২.২০ শতাংশ।
অতীতে আমরা দেখেছি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা, কিছুই টলাতে পারেনি ভারতকে। তাহলে এখন হঠাৎ কী হল, যে ক্রমশ নামছে ভারতের বাজার?
প্রথমত, আমেরিকায় নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্প ফিরে আসার পর চিন, মেক্সিকো ও কানাডার উপর নতুন কর আরোপ করেছেন। আর এর প্রভাব পড়েছে বিশ্ব বাজারে।
দ্বিতীয়ত, এবারের বাজেটে ইনফ্রাস্ট্রাকচার, রেলওয়ে, ডিসেন্স, পাওয়ার সেক্টর ও সিমেন্ট সেক্টরে সেভাবে নজর দেওয়া হয়নি। ফলে কিছুটা হলেও সেই প্রভাব পড়েছে ওই স্টকগুলোয়।
তৃতীয়ত, ডলারের তুলনায় ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে টাকার দাম। সেপ্টেম্বরের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির শুরুর মধ্যে পরায় সাড়ে ৪ শতাংশ পড়েছে টাকার দাম।
চতুর্থত, প্রতক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। শুধুমাত্র বাজেটের দিনেই প্রায় ১ হাজার ৩২৭ কোটি টাকা বেরিয়ে গিয়েছে বাজার থেকে। আর শুধুমাত্র জানুয়ারি মাসেই ভারতের বাজার থেকে বেরিয়ে গিয়েছে ৮৭ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা।
পঞ্চমত, কাঁচা মালের দাম বেড়ে যাওয়ায় কমে গিয়েছে প্রফিট। আর সেই প্রভাবে খারাপ হয়েছে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের রেজাল্ট। আর সেই ত্রৈমাসিকের রেজাল্ট খারাপ হওয়া বাজারের পতনের পিছনে একটা অনুঘটকের কাজ করেছে।
শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চাইলে সেই শেয়ারের বিষয়ে যথাযথ তথ্যানুসন্ধান ও অ্যানালিসিস করুন। TV9 বাংলা বিনিয়োগের কোনও উপদেশ দেয় না।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: যে কোনও বিনিয়োগে বাজারগত ঝুঁকি রয়েছে। ফলে, আগে বিনিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি সাবধানে পড়ে নেবেন। তারপর বিনিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।