Mass Resignation: বোনাস হাতে পেতেই গণইস্তফা কর্মীদের, মাথায় হাত ইলন মাস্কের!
Elon Musk: 'অল ইজ ওয়েল' নেই ইলন মাস্কের সংস্থায়। টুইটার অধিগ্রহণের পরই এক ধাক্কায় ৫০ শতাশ কর্মী ছাঁটাই করেছিলেন টেসলা কর্তা। এরপর আরও ছাঁটাই হয়। সংস্থার টালমাটাল অবস্থার মাঝেও বিতর্কিত মন্তব্য করা থামাননি মাস্ক। সম্প্রতিই তিনি বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
সান ফ্রান্সিসকো: বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি তিনি। তাঁর সংস্থায় কর্মীদের বেতনেও কার্পণ্য রাখেন না, কিন্তু তারপরও ধরে রাখতে পারছেন না কর্মীদের। একের পর এক ইস্তফা কর্মীদের। তাও আবার বোনাস (Bonus) পাওয়ার পর! এক্স (পূর্বতন টুইটার) কর্মীদের গণইস্তফায় (Mass Resignation) চরম সমস্যায় পড়েছেন ইলন মাস্ক (Elon Musk)। কিন্তু হঠাৎ কেন গণইস্তফা দিতে শুরু করলেন কর্মীরা? তাও আবার বোনাস পাওয়ার পর? তবে কী প্রাপ্ত টাকা নিয়ে সন্তুষ্ট নন? কর্মীরা কিন্তু বলছেন অন্য কথা।
‘অল ইজ ওয়েল’ নেই ইলন মাস্কের সংস্থায়। টুইটার অধিগ্রহণের পরই এক ধাক্কায় ৫০ শতাশ কর্মী ছাঁটাই করেছিলেন টেসলা কর্তা। এরপর আরও ছাঁটাই হয়। সংস্থার টালমাটাল অবস্থার মাঝেও বিতর্কিত মন্তব্য করা থামাননি মাস্ক। সম্প্রতিই তিনি বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে চরম সমালোচনার মুখে পড়েছেন। তার উপরে আবার কর্মীদের ইস্তফা। উচু থেকে নীচু- সমস্ত স্তরের কর্মীরাই গণইস্তফা দিচ্ছেন এক্স থেকে। সবথেকে বেশি ইস্তফা জমা পড়ছে সেলস বিভাগ থেকে। ফলে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে সংস্থার ভবিষ্যৎ নিয়ে।
কেন ইস্তফা দিচ্ছেন এক্স কর্মীরা?
রিপোর্ট অনুযায়ী, ন্যূনতম কর্মক্ষমতা দিয়েই এক্স তার কাজ চালাচ্ছে। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিজ্ঞাপন বিভাগ। ২০২২ সালে ইলন মাস্কের অধিগ্রহণের পর অর্ধেক কর্মী ছাঁটাই এবং ২০২৩ সালে গণইস্তফায় জেরে কার্যত ধুঁকছে এক্স। সম্প্রতিই অ্যাপেল, ডিজনির মতো বড় সংস্থাও এক্সে আর বিজ্ঞাপন দেবে না বলে জানিয়েছে। আর এই সবকিছুর পিছনেই রয়েছেন খোদ ইলন মাস্ক। কম বেতন বা অত্য়াধিক কাজের চাপ নয়, বরং সংস্থার মালিক ইলন মাস্কের জন্যই চাকরি ছাড়ছেন তারা।