প্রতি মাসে বেতন (Salary) পাওয়ার সময় দেখা যায়। ইপিএফ (EPF) বাবদ কাটা হয় বেশ কিছুটা। পরে সেই টাকা থেকে কিন্তু আপনি কোটিপতিও হতে পারেন। অবিশ্বাস্য হলেও এ কথাই সত্যি। তবে ছোটখাটো বিনিয়োগে খুব বেশি সুদের হার দেওয়া হয় না। তবে আপনার নিয়োগকর্তা যদি বেশি পরিমাণ অর্থ তহবিলে জমা করেন তাহলে ভবিষ্যতের জন্য একগাদা সঞ্চয় হতে পারে।
২০২০-২১ অর্থ বছর থেকে ইপিএফ তহবিলে সুদের হার ৮.৫ শতাংশ হয়েছে। ফিক্সড ডিপোজিট এবং নানা সরকারি স্কিমের ওপর সুদের হার বেশি। কোনও ব্যক্তির মাসিক বেতন যদি ২৫ হাজার টাকা হয় তাহলে ৩৫ বছরে সে ১.৬৫ কোটি টাকা জমাতে পারে। ইপিএফ আমানতে অর্জিত সুদ সম্পূর্ণ করমুক্ত হবে।
সেক্ষেত্রে অবসর না নেওয়া পর্যন্ত আপনি কখনওই ইপিএফ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন না। যোগদানের পাঁচ বছরের মধ্যে ইপিএফ থেকে প্রত্যাহার করযোগ্য। আপনি যদি কর্মক্ষেত্র বদল করেন তাহলে আপনার ব্যালেন্সটি নতুন নিয়োগকর্তার কাছে নতুন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার পরিবর্তে এটি তুলে নেওয়া করা উচিত।
এক বিখ্যাত সংস্থার কর্তা বলেন, ইপিএফ হল টাকা জমানোর নিশ্চিত জায়গা। বেতন থেকে টাকা কাটা হয়। কিন্তু অল্প পরিমাণ টাকা কাটা হয় বলে বেতনের ওপর প্রভাব ফেলে না। এই সঞ্চয় থেকে পরবর্তী সময়ে বেশ খানিকটা টকা পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সবচেয়ে উপকারী সঞ্চয়গুলির মধ্যে একটি হল ইপিএফ বিমা পলিসি। আরও পড়ুন: PMUY 2021: উজ্জ্বলা যোজনার দ্বিতীয় সংস্করণে কী সুবিধা মিলবে?