75 UK Scholarships: বিনামূল্যে বিলেতে পড়াশোনা! স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ব্রিটিশ সরকার দিল অনন্য উপহার, জানুন বিস্তারিত
ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতার বছরে, ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মোট ৭৫টি বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। পাশাপাশি ভারতের ব্রিটিশ কাউন্সিলের পক্ষ থেকেও দেওয়া হবে আরও কয়েকটি বৃত্তি।
লন্ডন: ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের করায়ত্ত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছিল ভারত। ৭৫তম স্বাধীনতার বছরে, সেই যুক্তরাজ্য থেকেই এল দারুণ উপহার। বিনামূল্যে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের সেই দেশের দুর্দান্ত পরিকাঠামোয় শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ নিয়ে এল ব্রিটিশ সরকার। চলতি বছরে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের মোট ৭৫টি বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাজ্য। ভারতের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে অংশীদারিত্বে এই বৃত্তিগুলি দেবে ব্রিটিশ সরকার। এর ফলে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে যুক্তরাজ্যে বৃত্তিপ্রাপ্ত ভারতীয় শিক্ষার্থীরা তাঁদের পড়াশোনার সম্পূর্ণ খরচ পাবেন। নিজেদের পকেট থেকে একটি টাকাও দিতে হবে না।
যুক্তরাজ্য সরকার বলেছে, ‘ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের এই বিশেষ উদ্যোগকে সমর্থন করছে এইচএসবিসি, পিয়ারসন ইন্ডিয়া, হিন্দুস্তান ইউনিলিভার, টাটা সন্স এবং ডুওলিঙ্গো সংস্থা। প্রস্তাবিত প্রোগ্রামগুলির মধ্যে রয়েছে এক বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য চিভিনিং স্কলারশিপ। যুক্তরাজ্যের যে কোনও স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে যে কোনও বিষয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। যুক্তরাজ্য সরকার এক বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য এত বেশি সংখ্যক সম্পূর্ণ অর্থায়িত বৃত্তি এর আগে কখনও দেয়নি।’
তবে, এখানেই শেষ নয়। ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য এর বাইরেও বিলেতে পড়ার সুযোগ করে দিচ্ছে ভারতের ব্রিটিশ কাউন্সিল। বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, ইঞ্জিনিয়ারি এবং গণিত বিষয়ে মহিলাদের জন্য কমপক্ষে ১৮টি বৃত্তি প্রদান করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এই বৃত্তিপ্রাপ্তরা যুক্তরাজ্যের ১৫০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২,০০০ টিরও বেশি কোর্সে পড়ার সুযোগ পাবেন। এর পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিল ইংরেজি ভাষা শিক্ষার জন্যও পৃথক ছয়টি স্কলারশিপ দিচ্ছে।
সম্প্রতি, ‘ইন্ডিয়া গ্লোবাল ফোরাম’এর সম্মেলন উপলক্ষে, ব্রিটিশ এবং ভারতীয় আন্তর্জাতিক স্তরের ব্যবসায়িক এবং সরকারি নেতারা লন্ডনে জড়ো হয়েছিলেন। সেখানেই গত বুধবার ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার অ্যালেক্স এলিস, ভারতীয় শিক্ষার্থীদের জন্য এই বিশেষ উপহার ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের ৭৫তম স্বাধীনতার বছরে, এটা একটা দুর্দান্ত মাইলফলক। শিল্প ক্ষেত্রে আমাদের অংশীদারদের কাছ থেকে ব্যতিক্রমী সমর্থন পেয়েছি। এর জন্য তাঁদের ধন্যবাদ। ভারতীয় শিক্ষার্থীরা এই ৭৫টি বৃত্তির মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সেরা শিক্ষাগত অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। এই ঘোষণা করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। ভারতের চিভিনিং স্কলারদের প্রায় ৩০ শতাংশই আসেন ছোট শহর থেকে। অথবা, তাঁরা হন প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী। যাঁদের পরিবারে আগে কেউ পড়াশোনা করার সুযোগ পাননি। ফলে এই স্কলারশিপ প্রোগ্রামের বৈচিত্র্য ক্রমেই বাড়ছে।’
অন্যদিকে, এই উদ্যোগে ব্রিটিশ সরকারের অংশীদার হওয়া এইচএসবিসি সংস্থার সিইও হিতেন্দ্র দেব বলেছেন, ‘চিভিনিং এইচএসবিসি স্কলারশিপ প্রোগ্রামের জন্য চিভিনিং-এর অংশীদার হতে পেরে আমরা আনন্দিত। আমাদের উদ্দেশ্য হল নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভারতীয় তরুণদের নেতা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী হয়ে ওঠার জন্য উৎসাহিত করা। এই প্রোগ্রামে অধীনে বিশ্বমানের শিক্ষাগত সুবিধা পাওয়া যায়। এইচএসবিসি ব্যাঙ্ক ব্রিটিশ ব্যাঙ্ক হলেও ভারতেও উল্লেখযোগ্য উত্তরাধিকার রয়েছে। আমরা মনে করি, দেশে নেতৃত্বের প্রতিভা বিকাশে আমাদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা থাকা উচিত।’