Psychologist: মনের ডাক্তার হতে চান? কীভাবে করবেন পড়াশোনা?

Psychologist: যে কোনও ধরনের মানসিক অবসাদ, মানসিক জটিলতার ক্ষেত্রে কাউন্সিলিং করে রোগীর রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করে থাকেন সাইকোলজিস্টরা। কিন্তু কীভাবে আপনিও হতে পারেন মনের ডাক্তার?

Psychologist: মনের ডাক্তার হতে চান? কীভাবে করবেন পড়াশোনা?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2022 | 8:20 AM

কলকাতা: পড়াশোনার চাপ থেকে কর্মক্ষেত্রের নানা সমস্যা, পারিবারিক অশান্তি থেকে শুরু করে সম্পর্কের জটিলতা, একাধিক নানা কারণে বর্তমানে মানুষের মধ্যে মানসিক অবসাদের (Depression) প্রবণতা অনেকটাই বাড়ছে। বাড়ছে আত্মহত্যার (Suicide) প্রবণতা। আর ঠিক সেই কারণেই শারীরিক সমস্যার সমাধানের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে মতো প্রয়োজন পড়ছে মনের ডাক্তারদেরও। কিন্তু, কীভাবে হওয়া যায় মানসিক চিকিৎসক বা মনোবিদ? নানা পেশার পাশাপাশি বর্তমানে এই পেশাতেও আগ্রহ পাচ্ছেন অনেকেই। 

মনোবিদ হতে গেলে শুরুতে স্নাতক স্তরে সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করা যেতে পারে। তবে এ ক্ষেত্রে অনার্স বা পাশ কোর্স দুটি বিভাগেই স্নাতক করে মনোবিদ হিসাবে কাজ করা সম্ভব। তবে মনোবিদ্যার ক্ষেত্রে দু’ধরনের বিশেষজ্ঞ দেখতে পাওয়া যায়। সাইকোলজিস্ট ও সাইক্রিয়াট্রিস্ট। সাইক্রিয়াট্রিস্ট হতে গেলে অবশ্যই পাশ করতে হবে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা। সে ক্ষেত্রে উচ্চমাধ্যমিকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা বাধ্যতামূলক। আমাদের দেশে নিট পাশ করে তারপরই পছন্দসই বিষয় হিসাবে মনোবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করে সাইক্রিয়াট্রিস্ট হওয়া সম্ভব। কোনও কিছুতে ভয়, একাকিত্ব সহ নানাবিধ মানসিক সমস্যা ক্লিনিক্যাল পদ্ধতিতে সমাধান করে থাকেন সাইক্রিয়াট্রিস্টরা। স্কিৎজোফ্রেনিয়ার মতো জটিল অসুখ, হিস্টোরিয়ার মতো রোগ হলে সাইক্রিয়াট্রিস্টদের শরণাপন্ন হয় মানুষ। সিংহভাগ ক্ষেত্রে কাউন্সিলিং ও ওষুধের মাধ্যমে করা হয় রোগের নিরাময়। 

অন্যদিকে উচ্চমাধ্যমিকে যে কোনও শাখায় পড়াশোনা করলেই সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা করা সম্ভব। একজন আর্টসের পড়ুয়াও সাইকোলজিস্ট হতে পারেন। স্নাতকে পড়াশোনার পাশাপাশি স্নাতকোত্তরেও সাইকোলজি নিয়ে পড়াশোনা সম্ভব। এমনকী যে কেউ চাইলে পিএইচডি-ও করতে পারেন। আসতে পারেন অধ্যাপনার কাজে। তবে সাইকোলজিস্ট হিসাবে কাজ শুরু করতে গেলে অবশ্যই ক্লিনিক্যাল লাইসেন্সের জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করতে হবে ইচ্ছুক ব্যক্তিকে। লাইসেন্স পেয়ে যাওয়ার পরেই শুরু করা যেতে পারে কাজ। যে কোনও ধরনের মানসিক অবসাদ, মানসিক জটিলতার ক্ষেত্রে কাউন্সিলিং করে রোগীর রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করে থাকেন এই সাইকোলজিস্টরা। বর্তমানে গোটা রাজ্য তথা দেশেই সাইকোলজিস্টদের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে।