আসানসোল: আর কয়েক দিন বাদেই আসানসোল পুরভোট (Asansol Municipal Election)। তার মধ্যে রাজ্য তথা জেলায় জেলায় বাড়ছে করোনা (Corona) আক্রান্তের সংখ্যা। আর এই পরিস্থিতিতে মোট ১১টি ওয়ার্ডে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জ়োন ঘোষণা করল প্রশাসন।
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬৩ হাজার পার করে গিয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে আসার পরে বিধিনিষেধ বলবৎ করতে কঠোর হল পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলার দুই পুরনিগম এলাকার বেশ কিছু অংশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় সেই সব অংশে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জ়োন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
শনিবার আসানসোল ও দুর্গাপুর পুরনিগমের দুই পুর কমিশনার আলাদা করে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জ়োন করা নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। আসানসোল পুরনিগমের ৮টি ওয়ার্ডের ৪০, ৪৩, ৪৫, ৫১, ৫৩, ৫৭, ৭৫ ও ১০৬ নম্বর বেশ কিছু এলাকাকে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জ়োন হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তার মধ্যে চারটি ফ্ল্যাট ও বহুতলও আছে। একইভাবে দুর্গাপুর পুরনিগমের তিনটি ওয়ার্ডের ১০, ২২ ও ২৭ নম্বর বেশ কিছু রাস্তাকে এদিন থেকেই মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জ়োনের আওতায় আনা হয়েছে।
দুই পুরনিগমের পুর কমিশনার ওই সব এলাকার থানার তালিকা পাঠিয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, আসানসোলে মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে, তার জন্য একটি বৈঠক হয়েছে। মহকুমা শাসক অভিজ্ঞান পাঁজার উপস্থিতিতে হওয়া এই বৈঠকে আসানসোল চেম্বার অফ কমার্সের সদস্যরা মহকুমা শাসককে আবেদন করেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা নিজেরা করোনা সচেতনতা মেনে চলবেন। ক্রেতাদের সচেতন করবেন। তবে যেন আসানসোল বাজারকে এখনই কন্টেইনমেন্ট জ়োন না ঘোষণা করা হয়। নইলে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বেন তাঁরা।
এদিন সন্ধ্যেবেলায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসি সেন্ট্রাল এস এস কূলদ্বীপের নেতৃত্বে মাস্ক- অভিযান চালানো হয় আসানসোল জিটি রোড সংলগ্ন সিটি বাসস্ট্যান্ড এলাকায়। পুলিশ আগে থেকেই সেখানে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী ঘেরাটোপ তৈরি করে রেখেছিল। মাস্কহীন যাত্রীদের ধরে সেই ঘেরাটোপে আটকে রাখা হয় তারপর গ্রেফতার করা হয়। ডিসিপি বলেন, গত সাতদিনে ন্যাশানাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে করোনা বিধি মেনে না চলায় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনাটের বিভিন্ন থানা এলাকায় ১,০২২ জনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
প্রতিদিন সব থানায় এলাকায় করোনা বিধি কার্যকর করার জন্য অভিযান চালানো হচ্ছে। একইসঙ্গে চলছে ধরপাকড়ও। বিশেষ করে রাত দশটার পরে নাইট কার্ফু যাতে মেনে চলা হয়, তারজন্য রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: Purba Medinipur: হু-হু করে বাড়ছে করোনা! বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত জেলা প্রশাসনের