বহরমপুর: রাজ্যে ১০৭ পুরসভায় চলছে ভোট গ্রহণ। ভোট শুরুর আগে থেকেই আসতে শুরু করেছে অশান্তির খবর। মুর্শিদাবাদে পরিস্থিতি সামলাতে সকাল সকাল রাস্তায় নামলেন বহরমপুরের সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধরী। তাঁর দাবি, কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টদের বুথে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, বহরমপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অধীর চৌধুরি রাস্তায় নেমে নিজের গাড়িতে করে পোলিং এজেন্টদের বুথে নিয়ে যান।
অধীর চৌধুরী জানিয়েছেন এ দিন সকালে ফোনে ঘুম ভেঙেছে তাঁর। ফোনে মহিলারা কান্নাকাটি করেন ও জানান, প্রার্থী ও এজেন্টদের রিভলভার নিয়ে তাড়া করছে তৃণমূলের কর্মীরা। কার্যত ভয়ে বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে পড়েন তাঁরা। এক এজেন্ট কালভার্টের তলায় লুকিয়ে আছে শুনে খুঁজতে যান অধীর, কিন্তু সেখান থেকেও ততক্ষণে পালিয়ে গিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় থেকে এজেন্টদের নিজের গাড়িতে করে বুথে পৌঁছে দেন সাংসদ। তিনি আরও জানান, এক কংগ্রেস প্রার্থীকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের জন্য ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করেননি। কানে রিভলভার ঠেকিয়ে তৃণমূল ভোট করাচ্ছে বলে দাবি অধীরের। তিনি বলেন, ‘মহিলাদের ওপর কিছু লোক মস্তানি দেখাচ্ছে। তাই আমাকে আসতে হয়েছে।’
বহরমপুরের সাংসদের আরও অভিযোগ, সকাল থেকেই বাড়ি বাড়ি বোমা নিয়ে হামলা চালানো হচ্ছে, আর তার জেরেই ভয়ে পালিয়ে যাচ্ছেন কর্মীরা, প্রার্থীরা। পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অধীর চৌধুরী বলেন, ‘প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা বলছি না, তবে আগে থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হলে এমন ঘটনা ঘটত না। শাসক দলকে বলা হচ্ছে, যা খুশি কর। আর আমাদের বলা হচ্ছে, শাসক দলের সঙ্গে মোকাবিলা করে যদি ভোট করতে চাও তো কর। অদ্ভুত অবস্থান প্রশাসনের।’
বহরমপুর পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের জিটিআই স্কুলের বুথে ৪৫ ও ৪৬ নম্বর বুথে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে যান অধীর চৌধুরী। এ ছাড়া, বহরমপুরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কান্তনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়েও উত্তেজনা ছড়ায় এ দিন। কংগ্রেসের পোলিং এজেন্টকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে অধীর চৌধুরি পৌঁছতেই পোলিং এজেন্টরা ক্ষোভ উগরে দেন।
আরও পড়ুন : Municipal Elections 2022: বাইক বাহিনীর তাণ্ডব! ভোটের শুরুতেই রণক্ষেত্রের চেহারা নিল পোলিং বুথ