
কলকাতা: মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়ালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, কেউ অভিযোগ জানাতেই পারেন। তা যে কোনও ব্যক্তির গণতান্ত্রিক অধিকার। সংসদীয় আইন অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা যায় না। ধারা ১৬ অনুযায়ী তা বলা হয়েছে। তারপরেও পুলিশ এফআইআর দায়ের করলে তা আইনের বিরুদ্ধে হবে।
এর আগে ভুয়ো ভোটার নিয়ে রাজ্যকে এফআইআর দায়ের করতে নির্দেশ দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তখন সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি। প্রশ্ন উঠছে, কেন সিইও এবং কমিশনকে দায়ী করা হচ্ছে? ইআরও এবং বিএলও শুনানির জন্য ডেকেছেন। তাঁদের কাছে গিয়ে অসুবিধার কথা জানাতে পারতেন। এখানে কমিশন কী করবে? শুনানির কাজ করার দায়িত্ব ইআরও-র।
আইন ভেঙে এফআইআর দায়ের হলে পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। লোকপাল আইন অনুযায়ী, কোনও সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগ এবং প্রমাণ থাকলে এফআইআর দায়ের করা যায়। এ ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট কী বলছে? কী কারণে মৃত্যু খতিয়ে দেখা উচিত বলে মন নির্বাচন কমিশনের।
কমিশনের প্রশ্ন, এই ধরনের অভিযোগকে কেন আইনের অপব্যবহার হিসাবে দেখা হবে না? এফআইআর খারিজের আবেদন করা হবে কমিশনের তরফে। কমিশনের তরফ থেকেও পাল্টা এফআইআর করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ আনা হবে। কাউকে বদনাম করার জন্য যে কোনও অভিযোগ করা যায় না। নির্বাচন কমিশনারদের রাষ্ট্রপতি নিয়োগ করেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার পুরুলিয়ার পারা এলাকার চৌতালা গ্রামের বাসিন্দা দুর্জন মাঝির দেহ উদ্ধার হয় রেললাইনের ধার থেকে। সেদিনই তাঁর শুনানির দিন ছিল। পরিবারের দাবি, বাড়ি থেকে শুনানিকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য টোটো ডাকতে গিয়েছিলেন দুর্জন। তারপরই দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি, শুনানির আতঙ্কেই আত্মহত্যা করেছেন ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার চিফ ইলেকশন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ও রাজ্যের চিফ ইলেক্ট্রল অফিসার মনোজ আগারওয়ালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন দুর্জনের ছেলে।