
নয়া দিল্লি: পাঁচ দফা প্রশ্ন নিয়ে বুধবার নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন আরও ৯ জন সাংসদ। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেক বেরিয়ে এসে জানান, যে পাঁচ দফা প্রশ্ন তাঁরা রেখেছিলেন, তার অধিকাংশ উত্তরই সঠিকভাবে দেয়নি কমিশন। অভিষেকের প্রশ্ন ছিল, যেখানে এসআইআর-এ বাংলায় সব থেকে কম নাম বাদ দিয়েছে, সেখানে কেন বাংলাতেই মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ করা হল?
পরিসংখ্যান দিয়ে অভিষেক বলেন, তামিলনাড়ুতে রিভিশনের হার ১২.৫৭ শতাংশ, ছত্তীসগঢ়ে ৮. ৭৬ শতাংশ, গুজরাটে ৯.৯৫ শতাংশ, কেরলে ৬.৬৫ শতাংশ। সেখানে দাঁড়িয়ে কেবল বাংলায় ৫ শতাংশ। বাকি রাজ্যে কোথাও মাইক্রো অবজারভার নিয়োগ করা না হলেও কেন বাংলাতেই করা হল? অভিষেকের কথায়, সিলেক্টভলি মাইক্রো অবজারভার, জেলা পর্যবেক্ষক কেবল বাংলায় নিয়োগ করা হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য, তাদের কাছে অফিসার নেই। আমরা বললাম, AERO-দের অনেকেই বসে রয়েছে। সবাইকে কাজে লাগানো হচ্ছে না। তাঁদেরকে তাহলে নিয়োগ করা যেতে পারত।” কিন্তু অভিষেকের কথায়, এই প্রশ্নেরও সঠিক কোনও উত্তর ছিল না কমিশনের কাছে। বাংলার সঙ্গে বিমাতৃসুলভ আচরণ করছে কমিশন, অভিযোগ করেন অভিষেক।
অভিষেকের কথায়, “মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার জানেনই না বাংলায় ঠিকভাবে কীভাবে এসআইআর-এর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে। এটা দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ওপর থেকে কেউ নির্দেশ দিচ্ছেন, সেই মতো তিনি কাজ করছেন। বাংলার ক্ষেত্রে গোটা বিষয়টি তাঁর কাছে স্পষ্ট নয়।”
রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি ইস্যুতেও প্রশ্ন রাখেন অভিষেক। তাঁর দাবি, এই যে ৫৮ লক্ষের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি ও কতজন রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাঁদের তালিকা প্রকাশের দাবি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, শুনানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় রয়েছেন মাইক্রো অবজারভাররা। কিন্তু এই মাইক্রো অবজারভার নিয়োগের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তুলেছিলেন, তাঁদের নিয়োগ নিয়ে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, কমিশন নিযুক্ত অবজারভাররা ভিনরাজ্যের ৷ তাঁরা রাজ্য ও এখানকার মানুষ সম্পর্কে অবগত নন ৷ তাহলে কীভাবে এই মাইক্রো-অবজারভাররা নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন, সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা ৷ যদিও তা খারিজ করেছিল কমিশন।