
আরামবাগ: ছাব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত হবে বলে দাবি বিজেপির। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। কিন্তু, তাদের সেই আশায় কি বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? রাজ্য বিজেপির নেতারা গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ খারিজ করে দিচ্ছেন। কিন্তু, রবিবার হুগলিতে বিজেপির সভায় মিঠুন চক্রবর্তীর মন্তব্যে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়েই জল্পনা বাড়ল। নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে এক হয়ে কাজ করার জন্য এদিন দলের নেতাদের বার্তা দিলেন মিঠুন। হঠাৎ কেন তিনি এই বার্তা দিলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এদিন আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার পুরশুড়া বিধানসভার খানাকুলের আটঘরায় বিজেপির পরিবর্তন সংকল্প যাত্রা ছিল। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন মিঠুন। সেই সভায় পুরশুড়া ও খানাকুলের দুই বিধায়ক উপস্থিত থাকলেও দেখা গেল না আরামবাগ ও গোঘাটের বিধায়কদের। আবার জনসভায় দেখা গেল না বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরাকে। আর এই সভাতেই দলের নেতাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ভুলে এক হয়ে কাজ করতে বললেন মিঠুন।
এদিন বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চে উপস্থিত নেতাদের দিকে তাকিয়ে মিঠুন বলেন, “আপনাদের মধ্যে যদি কোনও মনোমালিন্য থাকে, নির্বাচন পর্যন্ত সেটা মিটিয়ে নিন। সবাই একসঙ্গে লড়ুন। জিতিয়ে আনুন বিজেপিকে।” ক্ষমতায় আসতে গেলে যে দলের সব নেতাকে একসঙ্গে লড়াই করতে হবে, তা বুঝিয়ে দেন মিঠুন। তিনি যখন একথা বলছেন, তখন মঞ্চে উপস্থিত নেতাদের পরস্পরের দিকে তাকাতে দেখা গেল।
এদিন নিজের বক্তব্যে বাংলাদেশের হিংসার প্রসঙ্গ টেনে মিঠুন বলেন, “পশ্চিমবঙ্গকে পশ্চিম বাংলাদেশ হতে দেওয়া যাবে না। সেজন্য বিজেপিকে জেতান।” বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি সিপিএম, কংগ্রেস ও তৃণমূল সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি কমিউনিস্টদের বলছি, কংগ্রেসকেও বলছি, এমনকী তৃণমূলের লোকজনদের বলব, আপনাদের মধ্যে হিন্দুত্ব বোধ থাকলে তাহলে আসুন, আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করি। একসঙ্গে ভোট দিয়ে এই সরকারকে হঠাই।” এদিন স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমাতে কয়েকটি সিনেমার ডায়লগও দেন মিঠুন।
এদিকে, মিঠুনের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মন্তব্য নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বেড়েছে। বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুশান্ত বেরা কেন সভায় আসেননি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এই নিয়ে জানতে সুশান্ত বেরার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি।